মাসুম লুমেন, গাইবান্ধা: ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও বসতভিটা রক্ষা করার দাবিতে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নদী বেষ্টিত কাতলা মারি এলাকায় মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধা সন্তান কাউন্সিল এর সভাপতি মেহেদি হাসান বাবুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও গ্রামের শতশত নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন।
বক্তারা ভাঙনের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার ইউএনও বরাবর বাড়িঘর রক্ষার আবেদন করলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন। প্রতিদিন নদীর পেটে যাচ্ছে আবাদি জমি ও বসতভিটা। এর আগে এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ড্রেজার বন্ধ করতে বললেও এখনো নদীতে ড্রেজার বহাল তবিয়তে আছে। তারা আরও বলেন, এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে উপজেলার মানচিত্র থেকে খুব শীঘ্রই কাতলামারি গ্রামের নামটি মুছে যাবে। এরই মধ্যে বসতভিটা হারিয়ে পথে নেমেছে গ্রামের শতশত পরিবার। প্রায় ৩শ পরিবার হারিয়েছে তাদের আবাদি জমি। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে মসজিদ, মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবরস্থানসহ প্রায় শতাধিক একর আবাদি জমি ও বাড়িঘর। তাই অনতিবিলম্বে নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার অপসারণ ও নদী রক্ষার কাজ শুরু করে অসহায় পরিবারগুলোর বসতভিটা রক্ষার আহবান জানান মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীরা।
অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ড্রেজার সরানোর বিষয়ে ফুলছড়ি থানাকে অবগত করেছি। এলাকাবাসী এবং ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে এই সমস্যার দ্রুতই নিষ্পত্তি করা হবে বলে তিনি জানান।
সান নিউজ/কেটি