রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ : জেলার বেলকুচি উপজেলার যমুনা তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ নদ-নদীর তীরের আমন চাষিরা বিগত বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার পানি নেমে গিয়ে যমুনা চরাঞ্চল থেকে পানি শুকিয়ে গেছে। ফলে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে ফলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা বাদাম চাষ শুরু করেছেন।
মাটির নিচে বপন করা এই বাদামই যেন চরাঞ্চলের কৃষকদের এখন গোপন রত্ন। আমনের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় বাদাম ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখছেন যমুনার চরাঞ্চলের এলাকার কৃষকরা।
এসব অঞ্চলের ধুধু বালু চরে দিগন্ত জোড়া সারিবদ্ধ বাদাম ক্ষেতে নয়ন জুড়িয়ে যায়। বাদাম গাছ ভালো হওয়ায় কৃষকদের চোখে মুখে জ্বলছে আশার আলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেলকুচি উপজেলা বেলকুচি ইউনিয়নের ক্ষিদ্রচাপরী চর বেলকুচি চর, আজুগড়া রতনকান্দীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সারিবদ্ধ বাদাম ক্ষেতের এমন চিত্র দেখা যায়।
বেলকুচি ইউনিয়নের আজুগাড়া এলাকার বাদাম চাষি সোহেল মিয়া তিনি বলেন, বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি বাদাম গাছ খুবই সন্দর হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ থাকলে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারবো।
বেলকুচি উপজেলা কৃষি অফিসার কল্যাণ প্রশাদ পাল এই প্রতিবেদককে বলেন, এ বছরে যমুনা চরাঞ্চলে বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষে নেওয়ার জন্য বাদাম চাষিদের বেলকুচি উপজেলা থেকে ৫৫০টি কৃষক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সার দেওয়া হয়েছে, চলতি বছরে ৮০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাদামের ফলন আসতে ১২০ থেকে ১৪০ দিন সময় লাগে। বাদামের চাষ বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাবেন কৃষকরা।
সান নিউজ/কেটি