চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম বন্দরে কাগজ আমদানির ঘোষণায় আনা কন্টেইনারে মিলল ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার শলাকা অবৈধ সিগারেট। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এসব সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। এসব সিগারেটের আমদানিকারক চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ এলাকার জে. কে. ষ্টেশনারী নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য জানান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম। তিনি জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জে. কে. স্টেশনারী সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ-৪ সাইজের কাগজ ঘোষণায় এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করেন। কিন্তু কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসলেও পণ্য খালাসের লক্ষ্যে কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
ঝুঁকিপূর্ণ সিএন্ডএফ এজেন্ট আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, বন্দর, পণ্য ও পণ্যের তৈরি দেশ বিবেচনায় কন্টেইনার সংশ্লিষ্ট বিল অব ল্যাডিং আসাইকোডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে এ ব্লক করে রাখে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে গোপন তথ্য মিলে এই কন্টেইনারে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেট রয়েছে।
পরে কায়িক পরীক্ষায় কাগজের নিচে অভিনব কায়দায় লুকানো অরিস গেস মন্ড ব্রান্ডের ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়। আমদানিযোগ্য পণ্য সিগারেট অবৈধভাবে আমদানি করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রায় ১২ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এই কর্মকর্তা।
সূত্র মতে, চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জে.কে. স্টেশনারীর মালিক মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি দাবি করেছেন তার প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ। তিনি এ ধরনের কোনো সিগারেট আমদানি করেননি। এসব সিগারেটের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
সান নিউজ/আইকে