নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : রোজাকে সামনে রেখে দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ছোলা, ডাল, তেল, চিনিসহ দাম বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশে এসব পণ্যের দাম বাড়ছে।
দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে রোজা আসার আগেই দাম বেড়ে গেছে ছোলা, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের।
মটর ডাল কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ছোলা মণ ভেদে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেড়শ থেকে ২শ' টাকা বেড়ে মণপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৩শ ৫০ টাকায়। এছাড়া পাম অয়েলের দাম ঠেকেছে তিন হাজার ৮শ ৫০ টাকায়, যা একমাস আগেও তিন হাজার ৪শ টাকার নিচে বিক্রি হতো।
চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার ৮শ ৮১ টন। রোজায় দেশে ছোলার চাহিদা থাকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন। একসঙ্গে বেশি পণ্য কেনা ও আমদানি পর্যায়ে দাম বাড়ায়, বাজার ঊর্ধ্বমুখী; বলছেন ব্যবসায়ীরা।
চাক্তাই-খাতুগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ জায়েদ বলেন, "পণ্য একসাথে না কিনে যদি কয়েক দফায় কেনা হয় তাহলে ভাল হয়। একসাথে বেশি কিনলে প্রভাবটা বেশি পড়ে। খুচড়া ব্যবসায়ীরা এ সুযোগটা নিতে থাকেন।"
ভোগ্যপণ্য মজুদ থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাজির হোসেন বলেন, "কেন্দ্রিয় পর্যায়ে বা জেলা ও মাঠ পর্যায়ে একটা নজরদারি থাকা প্রয়োজন ছিল। সেটা না থাকায় কিছু ব্যবসায়ী কি পরিমাণ মাল এনেছে, স্টকটা কি পরিমাণ আছে তাদের কাছে- এসব পরিসংখ্যান না থাকায় এই অবস্থা তৈরি হচ্ছে।"
সাধারণ ক্রেতাদের দাবি, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো যাচ্ছে না।
সান নিউজ/এসএম