সান নিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেট, গাজীপুর, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর,রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ নতুন নতুন এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সারাদেশে এ পর্যন্ত ১৭টি জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
লকডাউনকৃত এলাকায় বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, ভেতর থেকেও কেউ বের হতে পারবে না। তবে জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী যান লকডাউনের বাইরে থাকবে। কিছু কিছু জেলায় অভ্যন্তরীণ যোগাযোগও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে শনিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে সিলেট জেলাকে লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। এখন সিলেট থেকে কেউ অন্য জেলায় যেতে পারবেন না এবং অন্য জেলা থেকে কেউ সিলেটে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি সিলেটের এক উপজেলার সাথে অন্য উপজেলার যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন করা হয়েছে গাজীপুর জেলাকেও। এই জেলায় শতশত শিল্প কারখানা। এসময়ে এসব কারখানাও বন্ধ থাকবে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে গাজীপুর জেলা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে। তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে এ পর্যন্ত তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে করোনা সংক্রমণ যাতে আর ছড়িয়ে না পরে সে জন্য বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছে,শনাক্ত আরও সাতজন। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (১১ এপ্রিল)সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
রাজবাড়ীতে শনিবার (১১ এপ্রিল) পাঁচ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়েছে। করোনা ভাইরাস যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য আগামী ১০ দিনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তিত মাধ্যমে জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে আজ ১০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন হাসপাতালে কর্মী হওয়ায় জেলার গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে পুরো জেলা। এমনটি উইনিয়নের সাথে উইনিয়নের যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়েছেল।
এছাড়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ,জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, কক্সবাজার, গাইবান্ধা, চাঁদপুর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাকে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।
বান্দরবান,মানিকগঞ্জের,সিরাজগঞ্জ,খুলনা,সাতক্ষীরার,কুষ্টিয়ায়,নীলফামারী, পিরোজপুর ও বরিশাল জেলার আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ক্ষেত্রে লকডাউন না বললেও বলা হচ্ছে সেখানে কেউ অন্যজেলা থেকে প্রবেশ করতে পারবে না, আবার কেউ বেড় হতেও পারবে না। দোকান পাট খোলান জন্য বেধে দেয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়।