নিজস্ব প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের একই স্থানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ডাকা সভা পণ্ড করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগ সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান রাজুর দুর্নীতি ও অনিয়নের প্রতিবাদে শনিবার (১৩ মার্চ ) ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বিকাল ৪টায় ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমানের পরামর্শক্রমে আ’লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুজা প্রতিবাদ সভা আহবান করে।
এর কিছুক্ষণ পর ১ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আব্দুর রউফ মিয়া একই স্থানে এবং একই সময়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বাষির্কীর আলোচনা সভা আহবান করে। এ নিয়ে সকাল থেকে এলাকায় আ’লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফের পরামর্শক্রমে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বুলবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে সভা পন্ড করে দেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান জানান, ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বাষির্কীর আলোচনা সভার জন্য শহীদ মিনারের মাঠ ব্যবহার করতে চেয়ে আবেদন করে। সে মোতাবেক তাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন আ’লীগ প্রতিবাদ সভা করার জন্য কোন প্রকার আবেদন এবং অনুমতি চায়নি। সে কারণে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ সভা ডাকায় চেয়ারম্যান ওয়ার্ড আ’লীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে প্রতিবাদ সভা পন্ড করার জন্য বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বাষির্কীর সভা আহবান করা হয়।
তিনি বলেন শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আমি। কার থেকে অনুমতি নিতে হবে আমার জানা নাই। তাছাড়া ওয়ার্ড আ’লীগ ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতির অনুমতি ছাড়া সভা ডাকতে পারে না।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে সভা পন্ড করে দেয়া হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে।
সান নিউজ/আরকে/এনকে