নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো বসুরহাট পৌর এলাকাসহ কোম্পানীগঞ্জে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালেও বসুরহাট বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ফের কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ও বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ছাড়াও চট্টগ্রাম রেঞ্জের একজন এসপি, সার্বক্ষণিক দুজন এএসপি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া প্রায় ৩০ জন পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে তিন শতাধিক পুলিশ ও ডিবি পুলিশ এবং র্যাবের দুটি টিম মোতায়েন রয়েছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে আর কোনোভাবে আমরা বিশৃঙ্খলা হতে দেব না। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে মাঠে রয়েছে।’
গতকাল মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেল থেকেই পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে পুরো বসুরহাট বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে গুলিতে আলা উদ্দিন নামের একজন নিহত হন।
এ ঘটনায় বসুরহাট মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে এক নম্বর আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন নিহত আলা উদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন। তবে ‘এজাহারে সমস্যা’ রয়েছে জানিয়ে মামলা নেয়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মামলা রেকর্ড হয়নি। এজাহারে সমস্যা আছে। ওনাকে বলা হয়েছে। পরে উনি (বাদী) ঠিক করে আনবেন বলেছেন।’
এদিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সংবাদকর্মী বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির এবং যুবলীগ কর্মী আলা উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘খুনি’ আখ্যায়িত করে বসুরহাট মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তার ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু।
ফের কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ও বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে বসুরহাট পৌর এলাকাসহ কোম্পানীগঞ্জে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালেও বসুরহাট বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সান নিউজ/এসএম