নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী : রাজশাহীর আম বাগানগুলোতে এখন মুকুলের মিঠা ঘ্রাণ। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশায় চাষিরা। তবে, শঙ্কা আছে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি তাদের।
আমের সোনালি মুকুলে ঢেকে গেছে গাছের ডালপালা। বাতাসে মুকুলের ঘ্রাণ মিলেমিশে একাকার। করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।
রাজশাহীতে প্রতিবছরই বাড়ছে আমের ফলন। তবে, প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকের। এ অবস্থায় বিদেশে রপ্তানিসহ ভালো দাম পেতে সরকারি হস্তক্ষেপ চাইছেন তারা।
আমচাষি আয়নাল হক পিটার বলেন, 'যে কষ্ট করি আমরা বাগান মালিকেরা সে অনুযায়ী দাম পাইনা আমরা। গত বছর করোনার কারণে বিদেশে আম পাঠাতে পারিনি আমরা। এ বছর পাঠানো ব্যবস্থা করবে সরকার বলে আশা করি।'
চলতি বছর জেলার ১৭ হাজার ৯শ হেক্টর জমির বাগান থেকে ২ লাখ ১৪ হাজার মেট্টিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন বলেন, 'প্রতিটি গাছে প্রচুর মুকুল আসছে। বাম্পার ফলন প্রত্যাশা এবার। আশা করি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।'
শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। তবে দাম নিয়ে এবারো চাষিদের মাঝে রয়েছে শংকা। তারা বলছেন, আমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হলে দেশের বাজার সম্প্রসারণসহ বিদেশে আম রপ্তানি নিশ্চিত করতে হবে।
সান নিউজ/এসএম