নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরিদপুর : ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের জাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১১মার্চ ) বেলা ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে জাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা মরহুম এজাহার উদ্দিন মুন্সির পৌত্র মো. হাবিবুর রহমান মুন্সি বলেন, তার দাদা এজাহার উদ্দিন মুন্সি এই স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭২ সালে তার ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ২ একর ৯ শতাংশ জমি দান করেন।
এছাড়া বাগানের বাঁশবাড়ির ইট দিয়ে তিনি এলাকাবাসীর সহায়তায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করে যান। সেসময়ে স্কুলের স্বার্থে একই এলাকার মরহুম মহিউদ্দিন নামে একজনের নিকট হতে ৯৮ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাজী কোরবান আলী বিশ্বাস নামে স্কুল পরিচালনা কমিটির একজন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য বলেন, টাকার যোগান না হওয়ায় আমরা লটারীর আয়োজন করে দুই দফায় স্কুলের জমি কেনার জন্য টাকা সংগ্রহ করি। এরপর ১১ হাজার টাকার বিনিময়ে মহিউদ্দিন আহমেদের নিকট হতে স্কুলের জন্য ১১ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই জমি কিনি। তবে জমি রেজিষ্ট্রির খরচ কমানোর জন্য ওই জমির দানকৃত দলিল দেখানো হয়।
বর্তমানে একটি পক্ষ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং দীর্ঘ বছরেও জমিদাতার নাম দাতা সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি বলে অপপ্রচার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যদি প্রকৃতই মহিউদ্দিন আহমেদ জমি দান করতেন তবে তখনই কেনো তাঁর নাম দাতা সদস্য করা হলোনা। কেনো তার মৃত্যুর পর বিষয়টি তোলা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোল্যা মো. ইসহাক হোসেন, প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, ইউপি সদস্য মো. আলী আকবর বিশ্বাস, ইউপি সদস্য শিবানন্দ বিশ্বাস, স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আ. জব্বার মোল্যা, আলী আকবর মোল্যা, আজাদ রহমান টিক্কা, কেরামত আলী মোল্যা, সুলতান আহমেদ, হাজী কোরবান আলী বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র ঘোষ বলেন, জমি দাতা হিসেবে মরহুম মহিউদ্দিন আহমেদের নামভুক্তির জন্য কেউ লিখিত বা মৌখিক কোন আবেদন করেনি। স্থানীয়রা জানান, একটি পক্ষ স্কুলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
সান নিউজ/বিডি/ এনকে