চট্টগ্রাম ব্যুরো: তিন হাজার ৫০০ বর্গফুট খাল দখল করে গড়ে তোলা বেসরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউনিভার্সিটি) ১৮ তলা একটি ভবনের একাংশ ভেঙে দেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ভবনটির ভাঙন কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মঈনুদ্দিন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বহুতল ভবনটির দক্ষিণাংশে ভাঙন কাজ শুরু করা হয়। সিডিএর ¯েপশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম ভাঙন কাজে নেতৃত্ব দেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ এ কাজে সহযোগীতা করছেন।
তিনি আরও জানান, নগরীর খুলশী এলাকায় গয়নার খাল দখল করে অবৈধভাবে নির্মাণ করা ইউএসটিসি ভবনের অংশটুকু সরিয়ে ফেলতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে বলা হয়। এ জন্য ইউএসটিসিকে ৯০ দিনের সময়ও দেয়া হয়। কিন্তু প্রায় ১৬ মাস পার হয়ে গেলেও তারা অবৈধ অংশটুকু সরিয়ে নেয়নি। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্ষার আগেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি আমরা।
তিনি বলেন, ইউএসটিসি নিজেদের জায়গায় ওই ভবন নির্মাণে সিডিএর কাছ থেকে ১৬ তলার নকশার অনুমোদন নিয়েছিল। কিন্তু নকশা না মেনে ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করে ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ। ভবনটি নির্মাণে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বর্গফুট খালের জায়গাও দখল করা হয়েছে।
এদিকে ভবনটি না ভাঙ্গতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ইউএসটিসির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্ল্যান অনুমোদনের পর আমরা ভবনটি নির্মাণ করি। কিন্ত হঠাৎ কোনো নির্দেশনা ছাড়া ভবনটি ভাঙ্গা শুরু করেছে তারা। এটি তো কারো ব্যক্তিগত জায়গা নয়। এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউএসটিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই ধংসস্তুপ থেকে বাঁচাতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাই।
তিনি আরো বলেন, কয়েকজন সেনাসদস্য ৯ মার্চ (মঙ্গলবার) রাতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন ভাঙ্গা হবে বলে সিকিউরিটি গার্ডদের হুশিয়ারি দিয়ে যায়। পরদিন কোনো নোটিশ ছাড়া ভবন ভাঙ্গা শুরু করে সিডিএ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা ভবনটির দক্ষিণাংশ ভেঙ্গে ফেলছে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন কেন এভাবে ভাঙ্গা হবে তা মোটেও মঙ্গলকর নয়।
সান নিউজ/আইকে