ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীতে ফেসবুকে ‘ত্রাণের অনিয়ম নিয়ে’ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন এক যুবক। এরপর স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার সমর্থকেরা পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে তাকে। এমনকি তার ফার্মেসিতে ভাংচুর-লুটপাটও করেছে।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) ফেনীর জেলা যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
আহত মোঃ: ওমর (২৯) ফেনী জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। তিনি সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
ওমর জানান, “পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামে এক হতদরিদ্র বাবা-ছেলে ত্রাণ না পাওয়ায় আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ানের অনুসারীরা আমাকে ডেকে নেয়। স্থানীয় মুরব্বিদের উপস্থিতিতে আমাকে ফেসবুকের পোস্টের বিষয়ে জিজ্ঞেস করে।"
“এক পর্যায়ে সুফিয়ানের অনুসারী আলমগীর, রাজু, রাজন, হানিফ, আকবর, ইসমাইল, আজাদ, আরাফাত, মানিকসহ ৩০-৪০ জন আমার উপর হামলা করে। আমি প্রাণভয়ে ছুটে আমার দোকানে এসে বাঁচার চেষ্টা করি। পরে তারা আমার দোকানে এসেও ভাঙচুর ও লুটপাট করে, আমাকে মারাত্মকভাবে জখম করে।”
ওমরের অভিযোগ, সরকার ফেনীর অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ দিলেও স্থানীয় কিছু নেতা তা সঠিকভাবে বণ্টন না করে ‘নিজেদের পছন্দের লোকজনকে’ দিচ্ছেন।
তবে মারধরের কথা অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা সুফিয়ান বলেছেন, “ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটা গোষ্ঠী ওমরকে দিয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
ওমরের দোকানে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সুফিয়ান বলেন, “দোকান ভাঙচুর বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, “হামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। কারা হামলার সাথে জড়িত তা এখনো জানি না। তবে হামলাকারী যেই হোক তার বিচার হওয়া উচিৎ।”
আর ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”