নিজস্ব প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: শেওলায় আক্রান্ত হয়ে, বিনষ্ট হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ও গজারিয়া ইউনিয়নের বোরো ধানের চারা। এতে কৃষক হতাশাগ্রস্ত বা কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। মেঘনা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে শাখা নদীগুলো বিশেষ করে ফুলদী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে উপজেলার গজারিয়া ও ইমামপুর ইউনিয়নের কয়েক শত একর জমিতে রোপিত বোরো ধানের চারা শেওলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।
সরেজমিনে, দেখা গেছে গজারিয়া ইউনিয়নের গোসাইরচর পূর্ব এলাকার লামছি বা নিচু জমিতে বোরো ধানের চারা শেওলার কারণে মারা যাচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়ন একই চিত্র দেখা যায়।
ইমামপুর ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের কৃষক শফিউল্লাহর, লামছি ১০ করা জমির সব ধান শেওলার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। আরও বলেন, এই এলাকার ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষক প্রায় ১ শত কানি ধান আবাদ করেছে। কম বেশি অনেক কৃষককের ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে শেওলার কারণে ৷
গজারিয়া ইউনিয়নের গোসাইচর গ্রামের কৃষক সাইফুল বেপারী জানান, আমি দেড় কানি ধান চাষ করি। এবার অতি পানিতে শেওলা হয়ে আমার এক কানি জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ছাড়াও এ এলাকার অনেক কৃষকের ধান ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। অনেক বছর যাবত আমরা ধান চাষ করছি। এমন আর কখনো হয় নি। এবার আর্থিক সমস্যা পরবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ নূর বলেন, শেওলার কারণে যদি জমির চারা বা কুশি নষ্ট হয়। পরামর্শ- শেওলা গুলো মাটির সাথে আলতো করে মিশিয়ে দিতে হবে। তাহলে শেওলা সার হিসেবে কাজ করবে। আর জমিতে পানি জমলে তা সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
সান নিউজ/এনএইচ/ এনকে