নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার ( ৮ মার্চ ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের অধীন তিনটি ডিসিপ্লিনের ৭ জন নারী শিক্ষকের শিল্পকর্ম নিয়ে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরে ৪ দিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় জাদুঘরের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চারুকলা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, নারীর হাত ধরেই সৃজনশীলতার সূচনা এবং তা থেকেই সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছে। সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে বিভেদ বা বিভাজন থেকে বেরিয়ে এসে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি সৃজনশীলতার পেছনে নারীর অবদান ৫০ শতাংশ নয় বরং ৯০ শতাংশের বেশি। নারী শিল্পী, নারী শিক্ষক এসব বিবেচনা না করে বরং শিল্পী এবং শিক্ষক হিসেবেই দেখা উচিত। বিশ্বে এবং বাংলাদেশে কোন ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে নেই বরং দক্ষ হাতেই দেশ পরিচালনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন প্রফেসর অসিত বরণ ঘোষ ও খুবির ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. সাবিহা হক। অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের পক্ষ থেকে বক্তৃতা করেন প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক বেবী সুলতানা।
সঞ্চালনা করেন ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাপলা সিংহ ও ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের প্রভাষক রওনক হাসান। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ও শিল্পকর্মে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এসময় চারুকলা স্কুলের অধীন তিনটি ডিসিপ্লিনের প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান অতিথি এবং অতিথিবৃন্দ প্রদর্শনী গ্যালারিতে নমুনা পেইন্টিং করে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, শিল্পকর্মে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষকরা হলেন বেবী সুলতানা, জাহিদা আখতার, সান্তনা শাহরিন, শাপলা সিংহ, লুৎফুন্নাহার লিজা, রওনক হাসান ও কেয়া চক্রবর্তী। শিল্পকর্ম প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন ঘুরে হাদী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নাসিফ আহসান, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর মোছাঃ তাছলিমা খাতুনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সান নিউজ/কেএ/এনকে