নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জেলার সরাইল উপজেলায় এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে উপজেলার টিঘর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মধ্যরাতে আব্দুস সাত্তার (৬০) নামের একজনকে আটক করেছে সরাইল থানা পুলিশ। আটক আব্দুস সাত্তার ওই এলাকার মৃত জয়দর আলীর ছেলে।
ওই প্রতিবন্ধীর মা জানায়, আমরা গ্রামের যে জায়গাটিতে বসবাস করি, তা অনেকটা নীরব নিরিবিলি। আমার ৩ মেয়ে ও এক ছেলের সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে বড় মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি ও ২য় মেয়েটি জন্ম বাক প্রতিবন্ধী। স্বামী মারা যাওয়ার পর বাকী দুই মেয়ে ও ছোট ৫ বছরের ছেলেকে দিয়ে মানুষের সহযোগিতায় খেয়ে দেয়ে কোনভাবে বেঁচে আছি। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বের হয়। এর অনেকক্ষণ পর তাকে খোঁজ করে পাচ্ছিলাম না। আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার মেয়েটি হেটে আসছে। কাছে আসার পর শরীরের কাঁদা লাগানো ছিল। সে মুখে কিছু না বলতে পেরে আমার হাত ধরে স্থানীয় বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে একটি সেলুনে আব্দুস সাত্তারকে দেখিয়ে দেয় আমার মেয়ে। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে আমিসহ উপস্থিত অন্যান্যরা সাত্তারকে ধরার চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই সাত্তার আমার বাড়ির পাশের জমিতে পানির সেচ দেওয়া মেশিনে রাতে পানি দিচ্ছিল। এসময় আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় আমি স্থানীয় মেম্বারকে জানালে, তিনি আপোষ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে রাতেই আব্দুস সাত্তারকে আটক করে পুলিশ।
সরাইল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশ রাতেই আব্দুস সাত্তারকে আটক করে। কিশোরীটিকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সান নিউজ/এনআই/কেটি