নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় সাথী (১৯) নামের এক নববধূ বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নাটঘর গ্রামের ভান্ডুসার দক্ষিণপাড়া গ্রামে বাবা’র বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে গতমাসে বিয়ের পিঁড়িতে বসে এই তরুণী। তার স্বামী, কোনও কিছু জানিয়ে গোপনে সৌদি আরব চলে যাওয়ায় বিষয়টিকে প্রতারণা ভেবে নববধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে নববধূর স্বামী এনামুল কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে সৌদি আরব চলে যায়। নিহত সাথী আক্তার (১৯) একই ইউনিয়নের ভান্ডুশার পশ্চিমপাড়ার মদন মিয়ার মেয়ে। সাথী সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল সৌদি প্রবাসী এনামুলের।
নিহতের পরিবার জানায়, কসবা উপজেলার মৌলগ্রাম ইউনিয়নের বাউরখন্ড দক্ষিণপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে এনামুলের সঙ্গে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের ভান্ডুশার পশ্চিমপাড়ার মদন মিয়ার মেয়ে সাথীর ৭ মাসের প্রেমের সম্পর্কের মাথায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি দু’জনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন।
পরে উভয় পরিবারের সম্মতি ও গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্তে ছেলেকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে হবে রায় হয়। সেই সময় শালিসকারীরা ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বামীর বাড়িতে তুলে দেওয়া কথা রাখেন। তারপর যৌতুকের টাকা দেওয়া, না দেওয়া নিয়ে দু-পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়।
শুক্রবার রাতে এনামুল হঠাৎ সৌদি আরব চলে যায়। একই দিন সকালে সাথী তার বাবা‘র বাড়িতে সবার অজান্তে ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। নিহতের দুলাভাই সোহাগ মিয়া বলেন, কি কারণে সাথী আত্মহত্যা করেছে তা আমার জানা নেই। তবে যৌতুকের টাকা নিয়ে এনামুলের সঙ্গে সাথীর বাকবিতন্ডা হয়েছিল। এ ব্যাপারকে কেন্দ্র করে সাথী আত্মহত্যা করতে পারে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সান নিউজ/আকন্ঞ্জি/এসএ