নিজস্ব প্রতিনিধি, রংপুর : রংপুরে মাইগ্রেশন ও নিরাপত্তার দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার, সিটি মেয়র ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে নর্দান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) তারা এই কর্মসূচি পালন করে।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় শিক্ষার্থীরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিলে তিনি তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এই আহবান জানান। দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগর ভবনের প্রবেশ পথে অবস্থান নেন। সেখানে মাইগ্রেশন, মূল কাগজপত্র ফেরত এবং নিরাপত্তার দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই অফিস থেকে নেমে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন মেয়র। এসময় শিক্ষার্থীরা মেয়রকে দাবি আদায়ের জন্য স্মারকলিপি দেন এবং অভিযোগ করেন তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কলেজ কর্তৃপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এখন তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এসময় তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিজেদের নিরাপত্তা ও মাইগ্রেশনের দাবি জানান। মাইগ্রেশন দেয়ার বিষয়ে গেল ১৬ ফেব্রুয়ারি বিএমডিসি চেয়ারম্যান ড. শহীদুল্লাহ দেয়া ঘোষণা ১৫ দিনে ও বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২৬তম দিনের মতো সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে আন্দোলনে আছেন বলেও মেয়রকে জানান শিক্ষাথীরা। এসময় মেয়র বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। এর আগে তারা সকাল ১১টা থেকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে স্মারকলিপি দেয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুমোদনহীনভাবে ১৩-১৪ সেশন থেকে একাডেমিক নবায়ন, বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই গত ৫টি সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। এ কারণে কলেজটির হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২৬ দিন থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনের মধ্যেই এমবিবিএস থেকে পাস করে ১১ মাস অলস সময় কাটানোর পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিএমডিসির এক আদেশে ১১ নেপালীসহ ২১ শিক্ষাথীর ইন্টার্ন করার সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু ৩২ নেপালসহ ২৫০ শতাধিক শিক্ষার্থীর মাইগ্রেশনের ঘোষণা আসলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন দপ্তরে সামনে গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন তারা।
সান নিউজ/এইচআর/কেটি