নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের নুর ইসলাম মনা, আফরোজা বেগম ও আজিজুন নাহার নামে ৩ শিক্ষক একই সঙ্গে একাধিক কলেজে কর্মরত রয়েছেন ।
রুহিয়া ডিগ্রী কলেজে অনার্স দর্শন বিভাগের প্রভাষক নুর ইসলাম মনা সদর উপজেলার আবুল হোসেন সরকার ডিগ্রী কলেজে ডিগ্রী (পাস) দর্শনের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি দুটি কলেজেই নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।
এছাড়াও অনার্স ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আফরোজা বেগম এনটিআরসিএ কর্তৃক সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী ডিগ্রী কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে ডিগ্রি (পাস) কোর্সে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দুই প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতায় তিনি নিয়মিত স্বাক্ষর করেন।
অনার্স ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আজিজুন নাহার পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনিও দুই প্রতিষ্ঠানেই হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক নুর ইসলাম অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুই জায়গায় চাকরি করলেও বেতন নেওয়া হয় না।
অপর শিক্ষক আফরোজা বেগম জানান, এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
অপর শিক্ষক আজিজুন নাহার বলেন, আমি বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ২০১৩ সালে নিয়োগ পাই। ২০১৪ সালে আমাকে রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জোর করে কলেজে নিয়োগ দিয়েছেন। আমাকে ছাড়া আমার বিষয়টাতে অনার্স কোর্স খোলা যাচ্ছিল না বলে আমাকে নিয়োগ দেয়।
রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, আমার কাছে আপাতত অফিসিয়াল কোন তথ্য নেই। তবে যারা শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন সকলেই এই কলেজে নিয়মিত ক্লাস করছেন।
আবুল হোসেন সরকার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খোদা বকস ডাবলু বলেন, নুর ইসলাম মনা ডিগ্রী দর্শন বিভাগে আনুমানিক ২০১৫ সালে তৃতীয় পোস্ট এ নিয়োগপ্রাপ্ত। তিনি এমপিওভুক্ত নন। তাই হয়তো তিনি অন্য কোথাও এমপিওভুক্তির চেষ্টা করছেন।
লাহিড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন জানান, ‘আফরোজা নামে আমাদের কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিগ্রি পাস কোর্সে একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত তৃতীয় শিক্ষক যার কোন বেতন-ভাতা নেই। তিনি কলেজে নিয়মিত না আসায় করোনার আগে তাকে শোকজ করা হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এবং আবুল হোসেন সরকার ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ নেই। এমনটা হয়ে থাকলে তাদেরকে শোকজ করে প্রকৃত তথ্য বের করা হবে।
সান নিউজ/বিআইবি/এনকে