নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর : গাজীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখন্ড এলাকার “মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার” শিক্ষক ও মুহতামিম মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে মাদ্রাসা শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরিবারের আপোষ হওয়ায় আইনি পদক্ষেপ নেননি ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা।
শিক্ষার্থী ইয়াসিন (৭) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। তার বাবা এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী “মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার” মুহতামিম। তার বাড়িও ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার দাইরগাঁও গ্রামে। ওই মাদ্রাসায় নূরানী, নাজেরা ও হেফজ বিভাগের বিষয়সমূহ পড়ান।
শিক্ষার্থী ইয়াসিনের স্বজনরা জানান, শিক্ষার্থীকে প্রায় বছর খানেক আগে ওই মাদ্রাসার আবাসিকে ভর্তি করা হয়। শিক্ষার্থী পড়ালেখার চাপ সামলাতে পারছিল না। ফলে শিক্ষকের পড়া শেষ করতে পারেনি শিক্ষার্থী ইয়াসিন। পড়া দিতে না পারায় বুধবার (৩ মার্চ ) সকালে শিক্ষক মোহাম্মদ আলী তাকে মারধর করে। মারধরের কারণে সে কান্নাকাটি করে মাদ্রাসার পাশেই তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায়।
শিশুর মা শারমিন আক্তার বলেন, তার ছেলেকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে এভাবে কোনো মানুষ কোনো পশুকেও মারতে পারে না। মাদ্রাসার শিক্ষকের বিচার আল্লাহর কাছেই দিয়েছি।
শিশুর বাবা মফিজুল হক বলেন, স্থানীয় এবং আমার প্রতিবেশীদের মাধ্যমে মাদ্রাসার শিক্ষক আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তাই আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, সে পড়া দিচ্ছিলো না, তাই তাকে কিছুটা মারধর করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টা এত বড় হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা মোস্তারী বলেন, বুধবার দুপুরে শিশুর বাবা-মা এসেছিল। তাদেরকে থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দিতে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/টিআইএস/এনকে