রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক রুবেল হোসেন। চলতি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যেই গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রুবেল হোসেনের জমিতে এক একটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। চারিদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য। এ সৌন্দর্য্য দেখতে আশপাশের এলাকা থেকেও তার জমিতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন।
বেলকুচি পৌর এলাকার মুকুন্দগাতী গ্রামে রুবেল হোসেন (৩৫) ব্যবসার পাশাপাশি কৃষিকাজও করেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ পেয়ে চলতি বছর এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এখন সূর্যমুখী চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়। পাঁচ ইঞ্চি অন্তর অন্তর একটি করে বীজ বপন করতে হয়। একটি সারি থেকে আরেকটি সারির দূরত্ব রাখতেও হয় পাঁচ ইঞ্চি।
মাত্র ১০০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে বীজ বপন থেকে শুরু করে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। সূর্যমুখীর বিঘাপ্রতি ফলন ৮ থেকে ১০ মণ। একরের হিসেবে খরচ বাদ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। যা অন্য কোনো ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রমে বেশি আয়।
রুবেল হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে ১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করছি ভালো আয় হবে।
বেলকুচি উপজেলা কৃষি অফিসার কল্যাণ প্রসাদ পাল বলেন, বেলকুচিতে এই প্রথম সূর্যমুখীর চাষ শুরু করা হয়েছে। বেলকুচি উপজেলা থেকে ৩০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ প্রদান করা হয়। চলতি এই মৌসুমে ৩০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হচ্ছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে বীজ দেওয়া হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে আট থেকে দশ মণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আশা করছি যদি সফল হওয়া যায় তাহলে আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ অনেক বাড়বে।
সান নিউজ/আরকে/এনকে