নিজস্ব প্রতিনিধি, রংপুর : মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহিদ শংকু সমজদারের ৫১তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে তাঁর নামে রংপুর নগরীর আশরতপুরে প্রতিষ্ঠিত শহিদ শংকু সমজদার বিদ্যানিকেতনে বুধবার (৩ মার্চ ) দুপুরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান শংকু সমজদারের মায়ের সাথে দেখা করতে যান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতার রংপুরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। প্রধান আলোচক ছিলেন রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ তানিয়া সুলতানা সুমি’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিককর্মী, নাট্যব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের ভূতপূর্ব অধ্যাপক মো: শাহ আলম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উমর ফারুক, প্রতিষ্ঠানের উপাধক্ষ্য আফিফা ইশরত চেতনা প্রমুখ।
স্কুলের শিক্ষক শারমিন আক্তার ও রওজাতুন নাহার প্রেমা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেরদৌস আক্তার। অনুষ্ঠানে মাইশা তারান্নুম, কুয়াশা আক্তার এশা, প্রযুক্তা অক্ষর, ফাতেমা-তুজ-জোহরা বৃষ্টি, সফুরা খাতুন ও ফারহানা আক্তার বীথি নৃত্য, সংগীত ও আবৃত্তি উপস্থাপন করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা শহিদ শংকুর স্মৃতি রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বক্তারা দাবি করেন, শহিদ শংকুর সাহসীকতার গল্প আগামী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, যুব ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন শহিদ শংকুকে স্বরণ করে শ্রদ্ধা নিবেন করেন।
এদিকে বুধবার (৩ মার্চ ) দুপুর ১২টায় রংপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ আসিব আহসান শহীদ শঙ্কু সমজদারের বাড়িতে যান। এসময় তিনি শহীদ শংকু সমজদারের মা দিপালী সমজদারের সাথে সাক্ষাৎ ও তার খোঁজখবর নেন। এসময় রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক হোসেন বাবলুসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে ডিসি শহীদ শংকু সমজদারের মা দিপালী সমজদারের হাতে আর্থিক সহযোগিতার চেক হস্তান্তর করেন।
প্রসঙ্গত: ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ সারাদেশের মতো রংপুরেও হরতাল পালিত হয়। হরতালের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন শংকু সমজদার। তারপর থেকেই আজকের এই দিনটিকে শহীদ শংকু দিবস হিসাবে পালন করে আসছে রংপুরের মানুষ।
সান নিউজ/এইচএস/এনকে