নিজস্ব প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অসময়ে পানি বৃদ্ধির কারণে বোরো ধান আবাদে ব্যাহত হচ্ছে। জেলার এ উপজেলাটি নদীবেষ্টিত একটি উপজেলা। এখানে নিচু জমির সংখ্যাই বেশি। নিচু জমিতেই বোরো ধান ভালো হয় । আর এ উপজেলা নিচু জমিতে এক ফসল হিসেবে বোরো আবাদ করে এখানকার স্থানীয় চাষিরা। ফাগুনের মাঝামাঝি এই সময় অতি পানি বৃদ্ধির ফলে বোরো ধানের জমিতে পানি জমে গেছে। আর ধানের গোঁছায় নতুন কুড়ি বা কুশি কম হচ্ছে। এখানকার কৃষকরা আবার বলছে। আমাদের উপজেলাটি নদী বেষ্ঠিত এলাকা হওয়াতে বছরের পর বছর শাখা নদীগুলোয় পলি জমে যায়। আর এখন অসময়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরও বলেন, এবছর দক্ষিণা বাতাস ও অতি গরমে পানি বৃদ্ধির আরও একটি কারণ।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা গজারিয়া ইউনিয়নের ধানের জমিতে পাতলা পাতলা ধানের চারা। নতুন কুড়ি বা কুশি নেই বললেই চলে। এছাড়াও উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নেরও একই চিত্র। নিচু জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে আছে। নতুন কুড়ি হচ্ছে কম।
ইমামপুর ইউনিয়নের আধারমানিক গ্রামের কৃষক ও গ্রাম কৃষি সমিতির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ্ বলেন, আমি গ্রামের দক্ষিণের চকের ৭০ শতাংশ নিচু লামছি জমিতে বিআর-২৯ ধান আবাদ করেছি। অসময়ে অতি পানি হওয়াতে ধানের কুড়ি কম হচ্ছে। আবার কিছু কিছু ধানের গোছা মরে যাচ্ছে। এই সময় এতো পানি হয়েছে। এমনতো আর আগে দেখি নাই।
গজারিয়া ইউনিয়নের গোসাইরচরের কৃষক সোহেল সিকদার জানান, আমরা ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে বিআর-২৯ ধান চারা রোপণ করেছি। অসময়ে পানির কারণে চারা অনেক মারা গেছে। এখন চারা রোপণ আর সম্ভব না। আমার মতো এ এলাকার ৪০ থেকে ৫০ জন কৃষকের ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ নূর বলেন, উপজেলাটি নদী বেষ্টিত। এমন সময় পানি বৃদ্ধির কারণে ধানের চারা মারা গেলে কিছু করার নেই। তবে পানি কমলে কিছু চারার নতুন কুশি গজানোর সম্ভাবনা আছে।
সান নিউজ/এনএইচ/এনকে