ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: রাস্তায় বালু ফেলাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের এক নেতার দুই ছেলের বিরুদ্ধে একটি পরিবারসহ গৃহকর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
শহরের মধ্যপাড়া এলাকায় সোমবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই পরিবারের আহত সদস্যরা হলেন পীযূষ মল্লিক, তার স্ত্রী রিতা রানী মল্লিক, ৯ বছরের ছেলে প্রাঞ্জল মল্লিক ও গৃহকর্মী পুষ্প রানী।
পুষ্প প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। বাকিরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পীযূষের বাসার উপর তলায় থাকা আইনজীবী মো. আজিজ জানান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়া ও পীযূষ মল্লিক একই এলাকায় থাকেন। সেখানে নিজেদের জমিতে চারতলা বাড়ি তৈরির কাজ করছেন পীযূষ ও তার দুই ভাই। ওই কাজের জন্য সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাকে করে আনা বালু রাখা হয় মুসলিম মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তায়।
পীযূষের অভিযোগ, সেখানে বালু রাখতে ট্রাকচালককে বাধা দেন মুসলিম মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া। এ নিয়ে পীযূষের সঙ্গে সুমনের কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর মুসলিম মিয়া, তার দুই ছেলে মামুন মিয়া, সুমন মিয়াসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল পীযূষের বাড়িতে গিয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন। বাধা দিতে গেলে আহত হন তার স্ত্রী ও গৃহকর্মী। আহত হয় তাদের ৯ বছরের ছেলেও।
এরপর ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পীযূষের টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মামুন মিয়া বলেন, বালু ফেলা নিয়ে সুমনের সঙ্গে পীযূষের কথা কাটাকাটি হয়। পীযূষ সুমনকে গালাগাল করে লাঠি নিয়ে মারতে আসেন। তখন সুমন তাকে চড়থাপ্পড় মারে। তবে বাড়িতে গিয়ে সবাইকে মেরে আহত করার বিষয়টি সত্য নয়।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে আমি দুই-তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে পীযূষের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে থাকা একজনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক নারী ঘরের ভেতরে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছেন। আমরা কাউকে মারধর করিনি।’
এদিকে মো. আজিজ বলেন, ‘শব্দ শুনে আমি নিচে যাই। সেখানে পীযূষ ও তার স্ত্রীকে মারধর করতে দেখেছি। তাদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমার গায়েও কিল-ঘুষি পড়ে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও তারা কোনো মামলা হয়নি। মামলা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এমএনআইএ/এসএস