এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি : পার্বত্যাঞ্চলে খুনের বিচার না হওয়াতে দিন দিন খুন খারাবি আরও বেড়ে চলেছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরও পার্বত্যাঞ্চল অবৈধ অস্ত্রধারিদের দখলে! সরকার যাদের সাথে চুক্তি করেছে তারাও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। ১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর সরকার বনাম পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(জেএসএস) এর সাথে চুক্তি সম্পাদন করা হয়। সরকার চুক্তির ৮০শতাংশ বাস্তবায়ন করছে কিন্তু পাহাড়ে এখনো শান্তি ফিরে আসেনি। যাদের সাথে চুক্তি হয়েছে তারাই অবৈধ অস্ত্র দিয়ে পাখির মত মানুষ শিকার করছে। পাহাড়ের মানুষের কথা রেখেছে সরকার কিন্তু কথা রাখেনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(জেএসএস) ও বাকি অস্ত্রধারি আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির আগে পাহাড়ে ২টি অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী গ্রুপ ছিল চুক্তির পরে অথাৎ বর্তমানে ৪টি অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদেরআধিপত্য বিস্তারে প্রতিনিয়ত পাহাড়ে চলছে চাঁদাবাজি, খুন ও অস্ত্রের ঝনঝনানি। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা গ্রুপ,ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিভ ফ্রন্ড (ইউপিডিএফ) প্রসিত গ্রুপ,এমএন লারমা গ্রুপ ও সংস্কার পন্থী গ্রুপ। এ ৪ গ্রুপের মধ্যে ভ্রাতৃত্বঘাতি সংঘাত ও আধিপত্য বিস্তার প্রায় সময়ে লেগেই থাকে। যাকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে দিন দিন অশান্তি বাড়ছে। আর এসবের মূলকারণ হলো অবৈধ চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার।
সচেতন মহল সূত্রে জানা গেছে,পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে সকল সংঘাত হানাহানি এবং খুন,হত্যা যা-ই আমরা বলি না কেন এর মূলকারণ হচ্ছে খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে না পারা। আর এইসব অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা সরকারেরই একমাত্র দায়িত্ব। প্রতিটি হত্যার মামলা দায়ের ও বিচার করা হলে পাহাড়ে হত্যা ও চাঁদাবাজি কমে আসবে।
আমরা দেখেছি গত সাত বছরে তিন পার্বত্য অঞ্চলে ৩৮৩ জনের মত মানুষকে অবৈধ অস্ত্রের মুখে হত্যা করা হয়েছে। এর দায়ভার কে নেবে? আমরা মনেকরি এর দায়ভার সন্তু লারমাসহ ৪ আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকেই নিতে হবে। অপর দিকে যেসব অবৈধ অস্ত্র আসছে তা বন্ধ করতে হবে। সন্ত্রাসীরা অবৈধ চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে সীমান্ত ঘেঁষে যে সকল অস্ত্র আসছে তা বন্ধ করে দিতে হবে।
নিরাপত্তা সূত্র থেকে জানা গেছে,পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশীর ভাগ জায়গাই বনজংগল পাহাড় পর্বত তাই সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে থাকলে তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রচুৃর কষ্ট করতে হয়। তার পরও সন্ত্রাসীদের ধরাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই তারা অপরাধ করে সহজে পার পেয়ে যায়। এজন্য যে এলাকায় কোন অঘটন ঘটবে সে এলাকার আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের নেতাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তাহলেই পাহাড়ে অপরাধ দমন সম্ভব বলে মনে হয়। অন্য দিকে তিন পার্বত্য জেলায় অসংখ্য পুলিশ, সেনা, বিজিবি, এপি ব্যাটালিয়ন, আনসার ব্যাটালিয়ন চেক পোষ্ট ও ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে। বিগত দিনে তিন পার্বত্য জেলায় যতগুলো ম্যাডার হয়েছে সব ম্যাডারের মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ালে সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের স্বজনেরা গায়েল হয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কমে আসত। তাই প্রতিটি সন্ত্রাসী হত্যাকান্ডে মামলা হওয়াটা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করি।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা রাজ্য আসাম এবং আইজল বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে হওয়াতে এখানকার সন্ত্রাসীরা বর্ডার ক্রস করে অতি সহজে পালিয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও অবৈধ অস্ত্র আনার সুবিধা রয়েছে। তাই তারা বাংলাদেশে অঘটন ঘটিয়ে সহজে পালিয়ে যেতে পারে। কারণ বন জংগল দিয়ে পালাতে তাদের সুবিধা হয়। এজন্য বাংলাদেশকে সীমান্ত দিয়ে নিরাপত্তার চৌকি আরও জোরদার করতে হবে। আর সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র আনা বন্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের অরক্ষিত বিস্তৃর্ণ সীমান্ত দিয়ে অবাধে অস্ত্র ও অস্ত্রধারীদের যাতায়াতের কারনেই পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। পাহাড়ে এসব অস্ত্রের মজুদের জন্য সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে অতিমাত্রায় দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘অর্থই অনর্থের মূল’ কথাটি যেন পার্বত্য চট্টগ্রামের বেলায় ঠিক মিলে যায়! নানান উৎস থেকে চাঁদাবাজি করে অর্থের পাহাড় গড়তে মরিয়া পাহাড়ের আঞ্চলিক চারটি সংগঠন। টাকার অংকে এই চাঁদাবাজির পরিমাণ বছরে প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকা। তাই আধিপত্য বিস্তারে অবৈধ অস্ত্র মজুদ করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এতে পাহাড়ে ক্রমেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠছে সশস্ত্র অপতৎপরতা। এই চার সংগঠনের বিবদমান ভাতৃঘাতি সংঘাতে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।
মূলত: চাঁদাবাজি নিরংকুশ রাখতে এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার, মতের ভিন্নতা আর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন-খারাবি ও অপহরণসহ নানান অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে এসব সংগঠন। আবার পাল্টা ‘প্রতিশোধ’ নিতেও খুন করা হচ্ছে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের। চার সংগঠনের সশস্ত্র সংঘাতে তাদের নিজেদের নেতাকর্মি-সমর্থক, জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ, রাজনীতিক এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও খুনের শিকার হচ্ছেন।
নিজেদের নিয়ন্ত্রণে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় যেকোন সময়েই প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের হত্যা করা ‘মামুলি বিষয়’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বগোত্রের অস্ত্রধারীদের হাতে পাহাড়ি লোকজন ‘টার্গেট কিলিং’এর শিকার হচ্ছেন। এতে আতংকের জনপদে পরিণত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। নিরাপত্তার অভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দুই জেলার পর্যটন ব্যবসার খাতেও। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আর আমাদেরসময়ের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
অবশ্য এসব হত্যাকান্ডে নিয়ম করে আঞ্চলিক দলগুলো পরস্পরকে দোষারোপ আর দায় অস্বীকার করে চলছে। আর এখন পর্যন্ত কোন হত্যাকান্ডেরই বিচার না পাওয়ায় মামলা দায়ের করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন স্বজনরাও। তবে এই অশুভ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চান পাহাড়ের মানুষ। পুলিশ বলছে, শুধু সাজা দিয়ে খুনোখুনি হবেনা। সম্প্রীতির মাধ্যমে শান্তি ফিরতে পারে। এজন্য সামাজিক প্রতিশ্রুতি দরকার’।
অভিযোগ আছে, পাহাড়ে উন্নয়ন প্রকল্প, ঠিকাদার, কাঠ-বাঁশ ব্যবসা, পরিবহন, ব্যবসায়ি, চাকরিজীবী, চাষাবাদ-ফসল, পোষাপ্রাণি বিক্রি, চোরাকারবারী, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, মাদক, অস্ত্রব্যবসাসহ নানান উৎস থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চাাঁদাবাজি করে আসছে আঞ্চলিক দলগুলো। যদিও এসব অভিযোগ স্বিকার করেনা কোন সংগঠনই। এসবের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা আর আধিপত্য বিস্তারে নির্বিচারে একের পর এক খুন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অস্থির হয়ে উঠেছে পাহাড়ের পরিস্থিতি।
‘পাহাড়ের মানুষের অধিকার আদায়’ আর চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়নের ‘দৃশ্যমান দাবি’র আড়ালে পাহাড়ে এখন সক্রিয় চারটি আঞ্চলিক সংগঠন সশস্ত্র তৎপরতার লিপ্ত। প্রধান দুই সংগঠন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও প্রসীত খীষার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)র এবং সংস্কারপন্থি অপর দুই সংগঠন জেএসএস (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দুটি আলাদা ‘জোট’ করে সংঘাতে জড়িয়ে আছে। এই দুই জোটের দ্বন্দ্ব আর ‘পথের কাঁটা’ সরানোর প্রতিযোগিতায় ‘টার্গেট কিলিং’এ লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রগুলো বলছে, আঞ্চলিক দলগুলোর সংঘাতে ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত গত ৭ বছরে পাহাড়ি তিন জেলায় খুন হয়েছেন ৩৮৩ জন। এর মধ্যে ২৬৩ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আর ১২০ জন বাঙালি। এছাড়া অপহরণের শিকার হওয়া ৫৪০ জনের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৩৭১ জন ও বাঙালি ১৬৯ জন। চাঁদাবাজিও হচ্ছে বছরে প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকা। গেল এক বছরেই খুন হয়েছেন ২৬ জন। এসময়ে সাজেক ও রাজস্থলীতে সেনাটহলে পৃথক দুই হামলার ঘটনায় রাজস্থলীতে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাঘাইছড়িতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার(পিআইও) সরকারি কার্যালয়ে ঢুকে ইউপি সদস্য জেএসএস সংস্কার নেতা সমর বিজয় চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসিরা।
আলোচিত খুন: ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের গাড়িবহরে হামলায় দুই পোলিং কর্মকর্তাসহ ৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। পুলিশসহ ৩১ জন আহত হয়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে উপজেলা চেয়াম্যান ও জেএসএস(এমএন লারমা) দলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়। পরদিন তার শেষকৃত্যে যোগদিতে আসা গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ প্রধান তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাসহ ব্রাশফায়ারে ৬ হত্যাকান্ড এবং ১৮ আগস্ট খাগড়াছড়ি শহরে ব্রাশফায়ারে ৭ জনকে হত্যার ঘটনা পাহাড়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনায় স্থান পায়।
ব্যাপক আলোচনা আছে যে, খুন-খারাবির মধ্যেও বছর তিনেক ‘সমঝোতা শান্তি’র পক্রিয়া চালায় পাহাড়ের তিন আঞ্চলিক সংগঠন সন্তু লারমার জেএসএস, প্রসীত খীসার ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কার(এমএন লারমা)। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ‘ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক’ নামের আরেক আঞ্চলিক পাহাড়ি সংগঠনের আত্মপ্রকাশের পর এই ‘শান্তি’তে ছেদ পড়ে। অভিযোগ উঠে সংগঠনটি আতœপ্রকাশের মাত্র ১৮ দিনের মাথায় ৫ ডিসেম্বর রাঙামাটির নানিয়ারচরে এক ইউপিডিএফ নেতাকে খুন করলে পাহাড়ে ফের খুন খারাবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
পাহাড়ের এমন পরিস্থিতির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়াকে ‘কারণ’ বলে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে চুক্তি সম্পাদনকারী দল সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি(জেএসএস)। ‘চুক্তি’ যথাযথ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ও অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে।
শিক্ষাবিদ ও মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান বলেন, ‘কোন মৃত্যুই কাম্য হতে পারে না। পাহাড়ের মানুষ শান্তি চায়। চাঁদাবাজির কথা সবাই জানে। এই চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসুত্রিতা, দলগুলোর মধ্যে বিভাজন-হতাশা থেকেই এখানকার পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সংঘাত বাড়ছে। রাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে আরও চিন্তাভাবনা করতে হবে। মূল কারণটা কোথায়; অ্যাড্রেস করতে হবে’।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘সন্তু লারমা নিজেই চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। ১৯৯৮ সালে তার দল অস্ত্র জমা দেওয়ার পরও পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র থাকে কী করে?। এখন চারটি সশস্ত্র আঞ্চলিক দলের অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজিতে অস্থির পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান দিতে হবে’।
খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড়ের অর্থই অনর্থের মূল। নানান উৎস থেকে চাঁদাবাজি করে অর্থের পাহাড় গড়তে মরিয়া আঞ্চলিক দলগুলো। তাই আধিপত্য বিস্তারে অবৈধ অস্ত্র মজুদ করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে তারা। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পাহাড়ে চিরুনি অভিযান ও প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে দোষিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোঃ ছুফি উল্লাহ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সান নিউজকে বলেন, ‘পাহাড়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি সবাই জানলেও কেউ লিখিত অভিযোগ করে না। অবিশ্বাস, দ্বন্ধ, আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে খুনোখুনি হচ্ছে। সম্প্রীতির মাধ্যমে শান্তি ফিরতে পারে। এজন্য সামাজিক প্রতিশ্রুতি দরকার। শুধু সাজা দিয়ে হবে না’। ‘বিশেষ ভূ-প্রকৃতি, দূর্গমতা ও পুলিশের পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকার কারণে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়া যায় না। তবে অপরাধীদের গ্রেফতারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে’-বলে যোগ করেন এই কর্মকর্তা।
সান নিউজ/কেইউ/এনকে