নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি : পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারী জেএসএস ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজপথে নেমেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালি ছাত্র পরিষদ। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে সংগঠনটি। পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেএসএস ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকৈ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, শান্তি সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জঙ্গি সংগঠন এবং অবৈধ অস্ত্রধারীদের সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধের লক্ষে দ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রামে চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার পূর্বক পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে। বাঘাইছড়িতে সরকারি অফিসে ঢুকে দিন-দুপুরে ইউপি সদস্য বিজয় চাকমাকে হত্যা করে চলে যায় জেএসএস সন্ত্রাসীরা। এ হত্যা কান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
মানববন্ধন ও সমাবেশে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে ও পার্বত্য ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি হাবিব আজমের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর কবির, প্রধান আলোচক নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি সাব্বির আহম্মদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাগরিক পরিষদ জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ নাদিরুজ্জামান, সহসভাপতি কাজী মোঃ জালোয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মোল্লা, কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন ও প্রচার সম্পাদক মোঃতাজুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনও জেএসএস ও ইউপিডিএফের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী কিছু দুর্গম এলাকায় এসব সন্ত্রাসীদের আস্থানা। জেএসএস ও ইউপিডিএফসহ বাকি সকল সংগঠনগুলোর অবৈধ কার্যক্রম ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ তাদের সকল কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
পাহাড়ে সন্তু লারমা গ্রুপ জেএসএস ও ইউপিডিএফ বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটাতে ভারী অস্ত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র শাখা এক হয়ে জুম্ম লিবারেশন আর্মি গঠন করছে, তারা এখন ‘সেকেন্ড ফেজ ইনসারজেন্সি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করছে। তারা সীমান্তের ওপর গড়ে তুলেছে ১৪টি সশস্ত্র ক্যাম্প। গত একবছরে জেএসএস ও ইউপিডিএফ মূল দল সশস্ত্র রাজনৈতিক শাখার সাথে সংপৃক্ত প্রায় ৮০জন নেতাকর্মীকে কয়েকটি দেশে পাঠিয়েছে তারা। এছাড়াও জেএসএস ও ইউপিডিএফ সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারী অস্ত্র আনতে শুরু করছে।
সান নিউজ/কেইউ/এনকে