নিজস্ব প্রতিনিধি, শেরপুর : শেরপুর জেলায় বিদ্যালয় স্থাপনকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ইন্ডিপেন্ডেট টিভির শেরপুর জেলা প্রতিনিধি মেরাজ উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় শীরমত আলী নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০জন।
শনিবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সদরের হেরুয়া বালুরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শীরমত আলী মৃত সামাদ শেখের ছেলে ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনের চাচা।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাংবাদিক পরিবারের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে রেজাউল করিম সাদাসহ তার পরিবারের সঙ্গে। সম্প্রতি এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান নামে একটি মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এলাকাবাসী ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন।
স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিনের সঙ্গে তাদের আরও বিরোধ প্রকাশ্যে রুপ নেয়। ওই বিরোধের জেরে শনিবার বিকেলে রেজাউল করিম সাদা ও ৫০/৬০ জন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মেরাজ উদ্দিনের বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে শীরমত আলীসহ ১১ জন আহত হয়।
পরে তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত শীরমত আলী ও আল আমিন ডানোকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শীরমত আলী মারা যায়। আর বাকি সবাই শেরপুর ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সদর থানায় নারীসহ ৪২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারীসহ ৫ জনকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রেজাউল করিম গং আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি থানায় একটি জিডিও করেছিলাম। তারা আজ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আমার চাচাকে হত্যা করে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।’
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের ব্যপারে আমরা অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সান নিউজ/মুরাদ/এসএ