নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের নেতৃত্বে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের ভিতর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা একে অপরের দিকে চেয়ার নিক্ষেপ করে। এনিয়ে সমাবেশস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের বক্তব্য চলাকালে স্টেজের সামনে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির এর সমর্থক ও সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের পদবঞ্ছিত নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে দু'গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা একে অপরের দিকে চেয়ার নিক্ষেপ করলে সমাবেশস্থলে তুমুল বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। আতঙ্কে নেতাকর্মীরা সমাবেসস্থল থেকে বেরিয়ান।
পরে বিএনপির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতারা স্টেজ থেকে নেমে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানাগেছে, সম্প্রতি বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট কমিটি ঘোষণা হয়। ওই কমিটিতে যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি বলে দাবি ছাত্রদলের একাংশের। এ নিয়ে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিরোধ চলে আসছে স্থানীয় ছাত্রদলের মধ্যে।
এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সমাবেশস্থলে দুই গ্রুপ পাল্টা পাল্টি অবস্থান নেয়। সেখানে প্রথমে স্লোগান দেয়া নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে চেয়ারে বসা নিয়ে তারা সংঘর্ষ ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনায় ছড়ায়।
এসময় ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রুপের হামলায় বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান, মহানগরের সভাপতি রেজাউল করীম রনি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
তবে এ নিয়ে বক্তব্য জানতে উল্লেখিত নেতাদের একাধীকবার ফোন করা হলেও তারা কল ধরেননি।
সান নিউজ/কেআর/কেটি