নিজস্ব প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবিএম জিলানীর প্রচারণার মাইক ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় প্রচারণাকারী শাকিলের মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ফের প্রচারণা না করতেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায়পুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধুপুর এলাকায় বিএনপির প্রচারণার মাইক ভেঙে ফেলে নৌকার সমর্থকরা।
বিএনপির অভিযোগে বলা হয়, বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা করার সময় ঘটনাস্থলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় তারা প্রচারণার মাইকে ভেঙে ফেলে প্রচারণাকারী শাকিলের মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে যায়। ফের প্রচারণা না চালাতে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মাইক্রোবাসসহ অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলযোগে নৌকার সমর্থকরা পশ্চিম মধুপুর এলাকায় বিএনপির সমর্থক কালুর দোকানে যায়। এসময় কালুকে না পেয়ে তার ছেলে আবদুল মান্নানকে মারধর করা হয়। একই এলাকায় বিএনপির আরও এক সমর্থক বিল্লালকেও মারধর করেছে নৌকার লোকজন।
এছাড়া সকাল ১০ টার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থী রুবেল ভাট প্রকাশ্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠুকে গালমন্দ করে প্রচারণা না চালানোর জন্য হুমকি দেয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমাদের প্রচারণার মাইক ভেঙে ফেলেছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে আমরা নির্বাচন কমিশন ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আ.লীগের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। কোনভাবেই কারো ক্ষতি করছি না। বিএনপি প্রচারণায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। উস্কানিমূলক বক্তব্য ও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তারা নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। হামলার ঘটনা সত্য নয়। তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। নির্বাচনী এলাকায় ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্বে রয়েছেন। ভূক্তভোগী প্রার্থীকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২৮ ফেব্রুয়ারি রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে নৌকা ও ধানের শীষসহ ৫ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকার প্রার্থীর রুবেল ভাট কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। ধানের শীষের এবিএম জিলানী রায়পুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক দুইবারের মেয়র।
সান নিউজ/জেইউবি/এনকে