নিজস্ব প্রতিনিধি, জামালপুর : জামালপুরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও বিস্ফোরক দ্রব্য রাখার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির ৫ সদস্যের প্রত্যেককে সাড়ে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেশাল জজ আদালত।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামালপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির এই রায় দেন।
সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের বন্ধ চিতলিয়া গ্রামের কারী সাইদুর রহমান, আক্কাস আলী, সাইদুল মিয়া, মো. রুকনুজ্জামান ও আজিজুল হক। তবে সাজা পাওয়া আসামি মো. রুকনুজ্জামান পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই রাতে জামালপুর সদর উপজেলা ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের বন্ধ চিতলিয়া গ্রামের বিস্ফোরক সংগ্রহ করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল জেএমবির সদস্যরা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ র্যাব-৯ এর কোম্পানি-২ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে জেএমবির সক্রিয় সদস্য কারী সাইদুর রহমান, আক্কাছ আলী, সাইদুর মিয়া, রুকনুজ্জামান ও আজিজুল হককে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে পাইপ টুকরো, কাচের বোতল, বিস্ফোরক দ্রব্য ও জিহাদি বই উদ্ধার করে র্যাব-৯ এর কোম্পানী-২।
এই ঘটনায় র্যাব-৯ এর কোম্পানি-২ এর ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য জামালপুর বিশেষ আদালতে পাঠানো হয়।
মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০০৮ এর ৮ ধারা অনুযায়ী আসামিদের ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড। ধারা ৯ (৩) উপধারা অনুযায়ী প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। ধারা ১০ অনুযায়ী প্রত্যেক ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।
মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ খাজা আলম বলেন, আসামি প্রত্যেককে জেএমবির সক্রিয় সদস্য। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এছাড়া পলাতক রুকনুজ্জামানকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে সাজার আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তবে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষে তাদের স্বজন ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাবো। ওরা কেউ জেএমবি করে না। ওদের ফাঁসানো হয়েছে।
সান নিউজ/এসজে/কেটি