নিজস্ব প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে ভোটে হারা নিয়ে পরাজিত প্রার্থী ও নির্বাচিত কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রামগতি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড শিক্ষা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর মুর্তজা আল-আমিন ও পরাজিত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান লিটনের অনুসারী। আল-আমিন রামগতি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও লিটন জাসদ নেতা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আল-আমিন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সাংসদ বিএনপি নেতা আশরাফ উদ্দিন নিজানের অনুসারী। লিটন একই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল মামুনের অনুসারী। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে তারা ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে আল-আমিন বিজয়ী হন। কিন্তু লিটন ভোটে হেরে যায়। এনিয়ে দুইদিন পর মঙ্গলবার ঘটনার সময় লিটনের সমর্থকরা আল-আমিনের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দু’পক্ষেই ইট-পাটকেল মারতে থাকে। এতে ইট পড়ে জগলুর রহমান রুবেল নামে এক পথচারীর পা ভেঙে যায়। এ ঘটনায় রুবেলসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আহতদের মাথা-হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরসেকান্দর এলাকায় ভোটে হেরে কাউন্সিলর প্রার্থী হোসেন হাওলাদারসহ তার লোকজন নির্বাচিত প্রার্থী নিজাম উদ্দিনের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে নিজামের হাত ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৭ জন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছি। লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে পরাজিত প্রার্থী সোহেলসহ ২ জনকে আটক করেছি। রাতে কাউন্সিলর নিজামের সঙ্গে সোহেল সমঝোতায় যায়। পরে মুচলেকা নিয়ে সোহেলসহ অপর আটককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সান নিউজ/জেইউবি/কেটি