নিজস্ব প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ : চাকরি দেয়ার নামে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তির নামে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান কবির সাজু। তিনি বলেন, রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ ২নং আমলি আদালতের বিচারক হাফিজ আল আসাদের কাছে মামলাটি করেন মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহাজাহান সরকার। মামলাটি আদালত গ্রহণ করেছেন। এ মামলার আরও পাঁচজন সাক্ষী রয়েছেন।
সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তার নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয় বিভিন্ন লোকজনকে সরকারি দফতরে চাকরি দেয়ার কথা বলেন। এক কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু পরবর্তীতে কেউ চাকরি পাননি এবং সেই টাকা ফেরতও দেননি সাবেক এই এমপি। পরে প্রতারণার শিকার শাহাজাহান সরকারসহ ছয়জন ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার দাবি করে ময়মনসিংহের আদালতে মামলার আবেদন করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শাহাজাহান সরকার বলেন, আমার নাতিকে কাঠবৌলা বাজার ফাজিল মাদরাসায় চাকরি দেয়ার নামে সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু চাকরি দিতে না পেরে টাকা দিচ্ছে না। বিভিন্ন তালবাহানা করে ঘুরাচ্ছে। কোনো উপায় না পেয়ে আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
এ বিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী তানিয়া বেগম বলেন, আমি ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। এমপি আমাকে তথ্য-মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেবে বলে ১২ লাখ টাকা নেন। কিন্তু চাকরি ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি। পরে টাকার জন্য যোগাযোগ করলে দেই-দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকেন। এখন আইনের আশ্রয় নিয়েছি। ১২ লাখ টাকা আমি ঋণ করে দিয়েছি। এখন আমি আমার টাকা ফেরত চাই।
এ বিষয়ে সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তির মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সান নিউজ/একে/এনকে