নিজস্ব প্রতিনিধি, পিরোজপুর : পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ, ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আক্তার, কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান, ইউপি সদস্য সোহেল খানসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিবাদমান দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার রাতে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দুটি রুজু করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
সংঘর্ষ ও আহত হওয়ার ঘটনায় কদমতলা ইউনিয়নের একপাই জুজখোলা গ্রামের মৃত. হাজী ওহাব আলী সেখের ছেলে মো. ফারুক সেখ বাদি হয়ে কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খান, পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসরিন আক্তার নুপুরসহ ৩৩জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খানকে ১নং এবং তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে ৭নং আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, উপজেলার চলিশা গ্রামের আব্দুল ছালেক সেখের স্ত্রী মোসা: ছালেহা বাদি হয়ে সদর উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান এস এম রায়েজিদকে ১নং আসামী, কদমতলা ইউপি সদস্য সোহেল খানকে ২নং আসামি এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. শিহাব সেখকে ৩নং আসামি করে ২৩ জন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দয়ের করেছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, কদমতলা ইউনিয়নে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আলাদা আলাদা দুটি মামলা রুজ করা হয়েছে। পুলিশ ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা বাজার সংলগ্ন ব্রীজের কাছে কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শেখ মো. শিহাব উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মারাত্মক আহত সাইদুল সেখকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মো. শহিদ শেখ ও শাহ আলম শেখ নামে দুইজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসন্ন ইউপি নির্বাচন এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উক্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সান নিউজ/কেএসআর/এনকে