খান রুবেল, বরিশাল : বরিশাল জেলার মুদলী ও বানারীপাড়া পৌরসভার নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিজয় হয়েছে। দুই পৌরসভাতেই বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।
এদের মধ্যে মুলাদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিক উজ্জামান রুবেল তৃতীয় বার এবং বানারীপাড়ায় অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার রাতে ভোট গণনা শেষে স্ব স্ব পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওই দুই প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
মুলাদী পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. সোহেল সামাদ জানান, ‘এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিক উজ্জামান রুবেল ৭ হাজার ৫৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দীদারুল আহসান খান মোবাইল প্রতীক নিয়ে দুই হাজার ৬৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৯৪৯ ভোট পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী মুঞ্জুরুল ইসলাম। এছাড়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৪৯২ ভোট পেয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মো. আল মামুন।
অপরদিকে, ‘বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নূরে আলম জানিয়েছেন, ‘বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র শীল পাঁচ হাজার ৪২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জিয়াউল হক মিন্টু নারীকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ৬৯৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়া বিএনপি মনোনীত মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২৬৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘রোববার বার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুটি পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মুলাদী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৬১ জন এবং নারীপাড়ায় ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ১২৭ জন।
এ সংখ্যক ভোটারের অনূকুলে মুলাদী পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাছাড়া বানারীপাড়ায় মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এছাড়া মুলাদী পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের একজন করে এবং আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী একজন।
সান নিউজ/কেটি