নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও : চতুর্থধাপে অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আন্জুমান আরা বন্যা মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। এ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র হলেন তিনি। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাস উদ্দীন রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্য়ায় তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
আন্জুমান আরা বন্যা ২৬ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত শরিফুল ইসলাম শরীফ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকের আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৬৩ ভোট।
রোববার সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। ২/১টি অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়।সকালে সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের দাবি ভোটাররা করলেও প্রশাসন তা অস্বীকার করে।
তবে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন বলে দাবি করে দুপুর ১২ টায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেন। তাদের অভিযোগ বেলা ১১ টার পরপরই সরকারি দলের ক্যাডাররা বেশিরভাগ কেন্দ্র দখল করে নেয় । তারা ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে মেয়র পদে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করে ভোটারদের।
এছাড়াও অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দিতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ছিল নিরব দর্শকের ভূমিকায়। এছাড়াও ভোটের কয়েকদিন পূর্ব হতে পুলিশ ধানের শীষের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে গ্রেফতার করছে। এমনকি অনেককে কেন্দ্রেও গ্রেফতার করে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
এ পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী ৩জন,কাউন্সিলর প্রার্থী ৫৯জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
মোট ভোটার ৬০ হাজার ৭২৭ জন। পুরুষ ২৯ হাজার ৭১২ এবং নারী ভোটার ৩১ হাজার ১৫ জন ।
সান নিউজ/বিআইবি/এনকে