নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : নির্বাচনে অনিয়ম, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া এবং ভোট চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ও স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী।
নির্বাচন শুরুর প্রায় চার ঘন্টার মাথায় বিএনপির প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ও স্বতন্ত্র (আ’লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী জিয়াউল আহসান মিন্টু সাংবাদিকদের সামনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
তবে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোন প্রার্থীই ভোট বর্জনের ব্যাপারে লিখিত পাননি বলে জানিয়েছেন বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার।
এদিকে, ভোট বর্জনের বিষয়ে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। ভোটের আগের রাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকেরা বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে। তাছাড়া সকালে যারা কেন্দ্রে গেছে তাদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলেও তারা কোন ভূমিকা রাখেননি। তাই বাধ্য হয়ে নির্বাচন বর্জন করতে হচ্ছে। নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
একই অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জিয়াউল হক মিন্টু।
এদিকে মুলাদী পৌরসভা নির্বাচনেও কেন্দ্র থেকে বিএনপি ও সতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। তবে এখন পর্যন্ত ভোট বর্জন করবেন কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন প্রার্থীরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে মুলাদী ও বানারীপাড়া পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনিত দুই মেয়র প্রার্থী শফিক উজ্জামান রুবেল ও সুভাশ চন্দ্র শীল বলেন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। যারা অভিযোগ করেছেন তারা পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মিথ্যাচার করছে।
উল্লেখ্য, রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে বরিশালের দুই পৌরসভায় ভোট শুরু হয়। বানারীপাড়ায় মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ, একজন বিএনপি এবং অপরজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
এছাড়া মুলাদী পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের একজন করে এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী একজন।
বানারীপাড়া পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ৯ হাজার ১শত ২৭ জন ভোটার ৯ টি কেন্দ্রের ৩২ টি কক্ষের মাধ্যমে এবং মুলাদী পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ১৭ হাজার ৫শত ৬১ জন ভোটার ১০টি কেন্দ্রের ৫৩ টি কক্ষের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করছেন।
বানারীপাড়ায় নির্বাচন হচ্ছে ব্যালটে, আর মুলাদীতে হচ্ছে ইভিএম এর মাধ্যমে। ভোট শুরুর পরে সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ভীর দেখা গেছে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশী দেখা যাচ্ছে।
সান নিউজ/কেআর/এনকে/আরআই