নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেট সিটি কর্পোরেশনের করোনা ভ্যাকসিন কেন্দ্রে হয়রানির শিকার হচ্ছেন আগ্রহী নাগরিকবৃন্দ। নির্ধারিত সময়ের আগেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত কাউন্টার বন্ধ, সঠিক নির্দেশনা না পাওয়া, গাটের টাকা খরচ করে কেন্দ্রে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে সাধারণ মানুষের কঠিন একটা দিন গেলো। ব্যর্থ হয়ে অনেককেই ফিরে যেতে হয়েছে ভগ্ন মনোরথে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দু’টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের পঞ্চমতলায় অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র নিয়ে গেলে এ প্রতিবেদকসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ সেখানে কমরত কারও হদিস পাননি। স্বেচ্ছাসেবকদের জিজ্ঞাসা করলে তাদের সাফ জবাব, আজ আর হবে না। তারা চলে গেছেন।
হতাশাগ্রস্ত ভ্যাকসিন প্রত্যাশিরা নির্ধারিত সময়ের আগে কাউন্টার বন্ধের কারণ জানতে এর কাছে ওর কাছে ছুটাছুটি করলেও সঠিক জবাব পাচ্ছিলেন না।
তাছাড়া আড়াইটার আগেই দেখা যায়, ১২টি বুথের প্রায় সবগুলোই বন্ধ। একটা বুথে ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ চলছিল। পরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার জাহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় এ প্রতিবেদকসহ দু’জন সাংবাদিককে সোয়া ২টার দিকে ভ্যাকসিন দেয়া হলেও অন্যদের ফিরে যেতে হয়েছে।
এই ফিরে যাওয়াদের সংখ্যা প্রচুর। সিলেট মহানগরীর দাড়িয়াপাড়ার শংকর বাবু (৫০) এসেছিলেন সস্ত্রীক। দু’টোর দিকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র নিয়ে নির্ধারিত কাউন্টারে গিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। হাসপাতালের একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে জিজ্ঞেস করলে জবাব আসে, আজ শেষ কাল আসেন। তারা চলে গেছেন।
এরপর তিনি আরও কয়েজন স্বেসেবকের কাছে ছুটে গেলেও শেষ পর্যন্ত কোন লাভ হয়নি। আড়াইটার আগে ১১টি বুধ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কঠোর সমালোচনা চলে পুরো কেন্দ্রজুড়ে।
সার্বিক বিষয়ে আলাপকালে ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওসমানীতে দৈনিক ভ্যাকসিন প্রদানের সক্ষমতা ১৮শ জনের। তবে আজ শনিবার মোট ৩ হাজার ৯শ’ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এত মানুষের জন্য কাজ করতে হয়েছে তাদের। তাই আজ একটু সমস্যা হয়েছে। তবে বিষয়টা আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।
নির্ধারিত সময়ের আগে কাউন্টার বন্ধের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখবো। অন্তত আড়াইটা পর্যন্ততো রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলার কথা।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিনের কোন সংকট নেই। তবে লোকবল আর সময়ের সমন্বয় করতে পারলে এ সমস্যা থাকবে না। আমরা সেই চেষ্টা করছি। তাছাড়া, টিকা নিতে নগরবাসীর আগ্রহ অনেক বেড়েছে। সেজন্যই কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
সান নিউজ/এক/কেটি