কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগ-শোকে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধা ছায়েরা বেগম ও তার স্বামী। চিকিৎসাতো দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোই তার জন্য কষ্টকর। এমন অবস্থায় একটু ভালো থাকার আশায় বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। আশ্বাস মিললেও জোটেনি কোনো কার্ড। হতভাগা ছায়েরা বেগম ও তার স্বামীর বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চরডাঙ্গা গ্রামে।
অসহায় ছায়েরা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ও অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার টাকাও জোগাড় করতে পারি না। কখনো খেয়ে থাকতে হয়, কখনো না খেয়েও থাকতে হয়। আজকাল কেউ আমাগো খবরও নেয় না। আমাগো কি বাঁচার অধিকার নেই। আর কত বয়স হলে ভাতা পামু?’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ বলে কোন চেয়ারম্যান মেম্বাররা আমাগের খবর রাহে না। শুনি, সরকার আমাগো মতো গরিব মানুষগের কত কিছু দেচ্ছে। কিন্তু আমরা তো সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতাই পাই না।’
এ ব্যাপারে টগরবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন বলেন, আমাদের কাছে ভাতার জন্য যতগুলো আইডি কার্ড জমা পড়েছিল সেগুলোর ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদের সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি পরবর্তীতে এদের ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করে দেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী বলেন, ‘এসব ভাতার তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা করে থাকেন। অনেক সময় কেউ কেউ বাদ পড়ে যান। এই বৃদ্ধার সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। আমরা আপাতত কিছু শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। পরবর্তীতে তাকে ভাতার আওতায় আনা হবে।’
সান নিউজ/কেটি