নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমিল্লা : করোনা মহামারির কারনে গত বছরের মার্চ মাস থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের সেশনজট ঠেকাতে ডিসেম্বর মাস থেকে আটকে থাকা চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো নেওয়া হচ্ছে।
তবে এই ছুটির সময় আবাসিক হল বন্ধ থাকলেও পরীক্ষায় বসতে হল ফি দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত বছরের মার্চ মাস থেকে দেশের অন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে গত ২১ ডিসেম্বর থেকে আবাসিক হল বন্ধ রেখে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রায় ১ বছর হলে না থাকলেও পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের দিতে হচ্ছে হল ফি।
এদিকে করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকা ও কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন মেসের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ভাড়া ৬০ শতাংশ মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। মেসের ভাড়া মওকুফ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ভাড়া মওকুফের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী এজে রাব্বি বলেন, করোনাকালীন মানবিকতার টানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন মেসের ভাড়া অর্ধ-মওকুফ বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে। অথচ আবাসিক হলগুলোতে এখনো সে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এটা অমানবিক।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আনজুম আরও বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের হলগুলো বন্ধ। অথচ পরীক্ষার সময় ফি দিতে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ভাড়া মওকুফের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো আবু তাহের বলেন, শিক্ষার্থীরা লিখিত আবেদন জানালে ভিসি স্যারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে আমরা মওকুফের ব্যবস্থা করে দেব।
সান নিউজ/এসএ