বিশেষ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও সদ্য শেষ হওয়া চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় না তার প্রমাণ চসিক নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর লাভলেইনস্থ নির্বাচন কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও আপনারা সাংবাদিকবৃন্দ খুব কাছে থেকে দেখেছেন চসিক নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় অগণতান্ত্রিক সরকারের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন ও সরকার প্রশাসন ভোট ডাকাতি করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একটি নির্লজ্জ কমিশন। এই কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এই নির্বাচন কমিশন ভোট ডাকাতি করার জন্য নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করছে। আপনারা দেখেছেন অনেক জাতীয় পত্রিকায় হেডলাইন হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে "ভয়াবহ ভুতুড়ে কান্ড ঘটেছে" যার মূল কারণ ইভিএম এর ব্যবহার। কারণ এই ইভিএমে ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রাইল (ভিভিপিএটি) ব্যবহার অপরিহার্য ছিল। কিন্তু এই ইভিএমের সেটি নেই। যার ফলে ইভিএম একটি ভোট ডাকাতির মেশিন ছাড়া আর কিছুই নয়।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আমি গত ৩১ শে জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর দুটো চিঠি দিয়েছিলাম। একটিতে আমি ৭৩৩ কেন্দ্রের ৪৮৭৮টি বুথ এর ইভিএমের প্রিন্টিং রেজাল্ট চেয়েছিলাম। অন্যটিতে প্রতি ঘণ্টায় ভোটের পার্সেন্টেজ কত ছিল তা চেয়েছিলাম। কিন্তু গত দশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা দুটির একটিও দিতে পারে নাই।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ইভিএমে ভোটের রেজাল্ট দিতে সময় লাগতে পারে এক থেকে দু'ঘণ্টা। কিন্তু ভোট চুরি করতে সময় লেগেছে ১০ ঘন্টা। ভোট যে চুরি করেছে তাও ঠিক মত চুরি করতে পারে নাই। তাতেও গরমিল, পত্রপত্রিকায় হেডলাইন হয়েছে প্রথম যেদিন ৭৩৩ সেন্টারের রেজাল্ট ঘোষণা দিয়েছিল সেদিন আমাকে দুইটা সেন্টারের ০ ভোট দেখা হয়েছিল। তিনদিন পর আরেকটি রেজাল্ট সিটে দেখা গেল আমাকে ২২টি কেন্দ্রে ০ ভোট দেখানো হয়েছে, এতে বুঝা যায় তারা কি পরিমান ভোট জালিয়াতি করেছে। আমরা অনতিবিলম্বে চসিক নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভোট জালিয়াতি বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার দীর্ঘ ১৪ বছর অগণতান্ত্রিক পন্থায় একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। এই সরকার দেশকে একটি বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/আইকে/কেটি