নিজস্ব প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: কেউ খাচ্ছে, আবার কেউ নিজ সঙ্গীকে খাইয়ে দিচ্ছে। কেউ আবার নিজের সঙ্গীর দেখভালে ভীষণ রকম ব্যস্ত। খাচায় পোষা পাখির এ এক অন্যরকম সংসার। নানা রঙের পাখির নয়নাভিরাম এমন দৃশ্য চোখে পড়ে মো. রানা ইসলামের পাখি মেলায়। মূলত বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খামার ও দোকান রয়েছে তার। এসব পাখির মধ্যে আছে-লাভ বার্ড, কর্কাটেল পাখি, বাজরিকা, প্রিন্স, ডাইমন্ড ঘুঘু, অষ্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, জেপি, কবুতর প্রভৃতি।
কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার হলপাড়া এলাকার বাসিন্দা রানা ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তবে তিনি শখের বশে দীর্ঘ সাত বছর ধরে পাখি পালন করেন।
রানা ইসলাম জানান, প্রথমে শখের বশে বাজরিকা পাখি থেকে শুরু করি। ধীরে ধীরে পাখির বংশ বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে বাজরিকা পাখি বিক্রি করে কর্কারটেল পাখি কিনেছিলাম। এরপর ডিম বাচ্চা দিয়ে দিন দিন পাখির বংশ বৃদ্ধি হতে থাকে।
তিনি আরও জানান, বিদেশী প্রজাতির এই সব পাখির সৌন্দর্যের কারণে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাখি কেনার জন্য আমার কাছে অনেকে আসেন। কম খরচে অধিক লাভ হাওয়ায় পাখি পালনে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষত দেশী পাখি পোষা বন্ধ হাওয়ায় এই পাখিগুলোর চাহিদা বেড়েছে। আমার কাছে ৩শ’ টাকা থেকে ৭হাজার টাকা পর্যন্ত দামের পাখি রয়েছে।
রানা বলেন, শখের বশে পাখি পালন করলেও আমার মূল পেশা ছিলো রাজমিস্ত্রীর কাজ। কিন্তু গত বছর করোনার কারণে সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাজারে একটি পাখির দোকান দিয়েছি। এখন ভালই চলছে। বর্তমানে দোকান ও বাড়ি মিলে প্রায় লাখ টাকার পাখি রয়েছে। এই পাখি বিক্রি করে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।
রানা ইসলাম বলেন, যদি কেউ পাখির খামার করতে চান তবে প্রথমে কম দামি পাখি দিয়ে শুরু করা ভালো। কারণ পাখি পালন এবং রোগ ব্যাধি সম্পর্কে জানা লাগে। না হলে লোকসানের আশঙ্কা থাকে।
পাখির রোগ সম্পর্কে জানান, এই সব বিদেশী প্রজাতির পাখির রোধব্যধি খুবই কম হয়। এদের যত্নে রাখলে এসব পাখির অসুখ খুব কম হয়। তাই অল্প পুঁজিতে মানুষ পাখি পালন করে লাভবান হতে পারেন।
সান নিউজ/কেকে/এনকে