নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস ট্রাকের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ১২ জন। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সডকের বারোবাজার নামক স্থানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ৯ জন এবং হাসপাতালে নেবার পথে ১ জন ও কোটচাঁদপুর নিজ বাড়িতে একজন মারা গেছেন। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। রাতে ৯ জনের লাশ কালীগঞ্জ হাসপাতাল থেকে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছেন ।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ নড়াইলের আব্দুর রশিদ মোড়লের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় , বুধবার মাগুরা গামী জিকে পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো গ-১১০২১৪) বাসটি যাত্রী নিয়ে যশোর থেকে মাগুরার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাসটি বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌছালে বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণে রাস্তার উপর উল্টে পড়ে। এতে যাত্রীরা হাতহত হন। এঘটনায় এতে সড়কটির সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলের উভয় পাশে শত শত বাস ট্রাক আটকে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতার সাথে কালীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান (২২), ভাটপাড়া গ্রামের রনজিত দাসের ছেলে সনাতন দাশ (২৫), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রেশমা (২৬), আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের জান্নাতুল বিশ্বাসের ছেলে ওয়ালিউল আলম শুভ (২৫), শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের মৃত মহরম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল আজিজ (৭৫), সদর উপজেলার নাথকুন্ডু গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ইউনুস আলী (৩২), বাসের ড্রাইভার মাগুরা জেলার উজ্জল হোসেন (৩৫), কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিণদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ সোহাগ (২৪), কালীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ (২৬), যশোরের মনিরামপুর এলাকার শিলা খাতুন (২৮) ও ভাসুরের মেয়ে খাদিজা খাতুন (৭) ও সর্বশেষ নড়াইলের আব্দুর রশিদ মোড়ল।
সান নিউজ/এসজে/কেটি