এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি : রাঙামাটি জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের রাংগিপাড়া এলাকায় পেঁপে বাগান চাষ করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন হেলাল মাষ্টার নামের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতা হল তার চাকুরি জীবনে পেশা আর বাগান করা হলো তার একমাত্র নেশা। শিক্ষকতা বজায় রেখে তিনি একজন আদর্শ পেঁপে চাষী হতে চান। সে দেশের কৃষকদের উৎসাহিত করে বেকারত্ব জীবন থেকে রক্ষা পেতে কৃষি কাজে ধাবিত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হেলাল উদ্দিন পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি পেঁপে বাগানে সময় কাটান। তার চিন্তা চেতনা হল পেঁপে বাগান করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন, অপর দিকে জেলায় সবজির চাহিদা মিটাবেন। এই উদ্দেশ্য নিয়েই পেঁপে বাগানের যাত্রা শুরু করেন এই শিক্ষক। প্রচুর পরিশ্রমি একজন ব্যক্তি হলেন হেলাল মাষ্টার। তিনি দিনকে দিন বলেল না রাতকে রাত বলেন না। তার কাছে দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই সমান। কঠোর পরিশ্রম করে আজ এই পেঁপে বাগান এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। তার সাধনা অপরিসীম। প্রতি বছর হেলাল মাষ্টার পেঁপে উৎপাদন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন।
গাথেরছড়া গাউছপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও পেঁপে বাগান মালিক মো. হেলাল মাষ্টার বলেন, স্যোসাল মিডিয়া থেকে দেখে দেখে আমি প্রথমে আমার বাসা বাড়ির আশ পাশে পরীক্ষামূলক ভাবে ১শ’পেঁপে চারা রোপন করি। পরে আমার নিজস্ব ১একর জমিতে পেঁপে বাগান শুরু করি। কি ভাবে শুরু করলাম, এক একর জমিতে ১হাত পরিমাণ গর্ত করে সে গর্তে জৈব সার শুকনা গোরব দিয়ে প্রায় ১ সপ্তাহ রেখে দেই। এক সপ্তাহ পরে পেঁপে চারা রোপন করি। গত ৬-৭ মাস আগে পেঁপে চারা রোপন করি বর্তমানে পেঁপে পাকতে শুরু করেছে।
সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে হেলাল বলেন, পেঁপে চাষ অত্যন্ত লাভজনক একটি ফলপ্রসু আবাদ যে কেউ চাইলে এই চাষ করতে পারে। আমার পেঁপের ফলন ভাল হয়েছে। তাই আমি অনেক খুশি। খরচ বাদ দিয়ে এই এক একর জমিতে প্রায় ১০লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করা সমম্ভ।
লংগদু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকার কৃষির উপর অত্যন্ত গুরুত্বরোপ করেছেন। সে সুবাদে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন। সম্প্রতি কৃষি বিভাগ বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির বীজ ও হাইব্রিড ধান কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছেন। লংগদু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সহায়তায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন।
সান নিউজ/এসএম