রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ : প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষের বসবাস সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়। জনবহুল এই উপজেলার মানুষের জন্য একমাত্র স্বাস্থ্য সেবার স্থান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন গড়ে ৩শ থেকে ৪শ জন মানুষ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে যে পরিমাণ জনবল থাকা দরকার সে পরিমাণ না থাকার কারণে এমনিতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। তাতে যুক্ত হয়েছে পরীক্ষা নিরীক্ষাকারী ২ জন ল্যাব মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের অনুপস্থিতি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র দুই জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ছিল। একজন অসুস্থ এবং অপর জন শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটালের পিসিআর ল্যাবে স্থানান্তরিত হওয়ার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ দিন ধরে সকল প্রকার পরীক্ষা নিরিক্ষা বন্ধ হয়ে আছে। যার কারণে রোগিদের রোগ নিরুপনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন ডায়গনষ্টিক সেন্টারের অভিমুখে। এতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাড়তি টাকা ব্যয় হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রোগীরা।
স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, আমরা এখানে ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু হসপিটালে পরীক্ষা করার কোন টেকনোলজিস্ট নাই তাই বাহির থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। এটি আমাদের কষ্টকর বিষয়। যদি বাহির থেকে পরীক্ষা করাতে হয় তবে কেন সরকারী হসপিটালে আসা। আর সবার তো টাকা পয়সা নেই যে বাহির থেকে টাকা পয়সা দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে পারবে। এবিষয়ে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের অবশ্যই দৃষ্টি দেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোফাখখারুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে টেকনোলজিস্ট না থাকায় আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে পাশাপাশি করোনার নমুনাও সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। তবে এসব বিষয়ে আমরা আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। আশা করছি তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই দুর্ভোগ নিরসনের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সান নিউজ/এমআই/এনকে