নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনার বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পৃথক পৃথক সময়ে নগরীর দৌলতপুর এলাকায় দুটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এসব কর্মসূচিতে বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে এসব কর্মসূচি থেকে।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজ শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে খুলনা-যশোর মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিকের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টিএম জাকির হোসেন, সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক খান আহমেদুল কবির চাইনিজ, সরকারি বিএল কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. খন্দকার হামিদুল ইসলাম ও বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফারুখে আজম ও আব্দুস সালাম।
এরআগে বেলা ১১টার দিকে সরকারি ব্রজলাল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে দৌলতপুর শহীদ মিনারের সামনেও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তৃতা করেন রাকিব মোড়ল, নিশাত ফেরদাউস অনি, শেখ মো. রিয়াজ সাহেদ, ইয়াছিন গাজী, এনামুল হক, বিল্লাল হোসেন, তামিম হাসান শফিক, কাজল কুমার দে, মো. রেদোয়ানুল ইসলাম, মাশুক, রবিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রাকিব, শামীম প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খুলনা নগরী দৌলতপুর থানাধীন বি এল কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ আলী প্রতিদিনের ন্যায় কলেজের কাজ শেষ করে সোনালী ব্যাংকের সামনে এসে দেখে দুইজন ছেলে মেয়ে বসে অশ্লীল কার্যকলাপ করছে। তখন তাদের ওখান থেকে চলে যেতে বলে। তখন ছেলেটি ফোন করে লোকজনকে ডেকে নিয়ে এসে শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে ৭/৮ জন বখাটে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও পাথর দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এতে তিনি মাথায় জখম হয়। পরে তার আত্মীয় স্বজন ও শিক্ষকরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে খুমেক হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিক্ষক মোহাম্মদ আলী নগরীর দৌলতপুরের পাবলা মোল্লার মোড়ের মো. মতিয়ার রহমান মুন্সীর ছেলে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, আহত শিক্ষকের পক্ষ থেকে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সান নিউজ/কেএ/এনকে