নিজস্ব প্রতিনিধি, মাধবপুর : কোনো বাধাই দমাতে পারছেনা কোয়ালিটি ইন্টিগ্রেটেড কোম্পানির গ্রামজুড়ে পোল্ট্রি খামার তৈরির কার্যক্রম। সরকারি বিভিন্ন দফতরে গ্রামবাসীর দেয়া আবেদন তোয়াক্কা না করে একের পর এক তৈরি করে যাচ্ছে খামার। তাদের এ কার্যক্রমে অতিষ্ট ও নাকাল হয়ে পড়েছেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার কমলপুর, হরিনখোলা ও কালিকাপুর গ্রামবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সম্প্রতি কোম্পানিটি উপজেলার হরিণখোলা গ্রামেও নতুন আরেকটি প্রজেক্ট শুরু করেছে। মানছেনা গ্রামবাসীর কোনো বাধা।
জানা যায়, কোম্পানিটি পরিবেশ অধিদফতরের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই করে যাচ্ছে গ্রামজুড়ে একের পর এক পোল্ট্রি খামার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের এক যুবক জানান, খামার তৈরির বিষয়ে কোনো কথা বললে প্রশাসনের লোক তাদের হুমকি দিচ্ছেন। বলেন, খামার তৈরির বিষয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় কিছু লিখলেও নাকি দেখে নেবেন।
খামারগুলো কেবল কৃষিজমি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে না, পাশাপাশি খামারগুলির কাছাকাছি অঞ্চলে বসবাসরত হাজার হাজার বাসিন্দাদের মধ্যে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও রয়েছে বলে পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসনুভা নাশতারানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ২০১০ এর ১২ (১) ধারা অনুসারে, মহাপরিচালকের (ডিওইউ) ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য যথাযথ মানদণ্ড অনুসরণ না করে কোনও এলাকায় কোনও শিল্প সংস্থা বা প্রকল্প স্থাপন বা পরিচালনা করা যাবে না।
কোয়ালিটি ইন্টিগ্রেটেড কোম্পানির সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফয়েজ আহমেদ দাবি করেছেন, সরকার যেহেতু পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপনের জন্য প্রণোদনা দেয় তাই কোনও অনুমোদনের দরকার নেই। তা সত্ত্বেও তারা সম্প্রতি ডিএলএসের সাথে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
সিলেটের ডিওইর পরিচালক এমরান হোসেন বলেছেন, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ করছে এমন পোল্ট্রি ফার্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারী কমিশনার (ভূমি) (মাধবপুর) মো. মহিউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে তদন্তের দায়িত্ব এসেছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করছি। আগামী সপ্তাহে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবো।
সান নিউজ/বিএস