নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবান সদর উপজেলার ২ নম্বর কুহালং ইউনিয়নের ঘুংগুরু পাড়া রাস্তার মাতা হতে বটতলী হয়ে খেয়াংপাড়া ও চেমীর মুখ পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর তত্ত্বাবধানে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ লক্ষে কার্যাদেশ দেওয়া হয় গত ২০২০ সালের মে মাসে। কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে চলতি বছর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে।
তবে কাজটি পায় বান্দরবানের বিতর্কিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউটিমং কনস্ট্রাকশন নামে লাইসেন্সটি। আর সেই ঠিকাদারী লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজটি করছে স্থানীয় ঠিকাদার মো. আইয়ুব, মো. ইউনুস, মো. নাঈন ও জহিরুল হক ভুট্টু। তারা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ উন্নয়ন কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে আসছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঘুংগুরু খেয়াংপাড়ার রাস্তার মাতা হতে বটতলী খেয়াংপাড়া হয়ে চেমীর মুখ পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং, রিটার্নিং ওয়াল, কালবাট নির্মাণে স্থানীয় সাঙ্গু নদীর বালু ও দুই নম্বর নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যেকোন উন্নয়ন কাজে ঢালাই কাজ চলা কালে নিয়ম অনুযায়ী প্রকৌশলী উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে রিটার্নিং ওয়ালের ঢালায় কাজের সময় বান্দরবান (এলজিইডি) অফিসের কোন প্রকৌশলীকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঠিকাদাররা লোক দেখানো কিছুসংখ্যক এক নম্বর বালু স্টক দেখিয়ে ঢালায় কাজে নিম্নমানের সাঙ্গু নদীর বালু ব্যবহার করে আসছে। এছাড়া সড়কের কার্পেটিংয়ের এজিংএ নিম্নমানের ইটও দেখা গেছে।
সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মো. আইয়ুব বলেন, কাজ করতে গেলে একটু ভুলত্রুটি হতে পারে। নিউজ করার দরকার নাই আমরা আপনাদের সাথে বসে সমস্যার সমাধান করবো।
বিষয়টি জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, উন্নয়ন কাজে একটু এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে কোনো মতেই দুই নম্বর ইট ও নিম্নমানের বালু ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে জানতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুস সাদাত মো. জিললুর রহমানের মুঠোফোনে বার বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসে দায়িত্বরত অতিরিক্ত প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, আমি চাই আমার ডিপার্টমেন্টে অনিয়ম-দুর্নীতি না হোক। বিষয়টি আমি দেখতেছি এবং বান্দরবান জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিচ্ছি।
সান নিউজ/এমএ/কেটি