সারাদেশ

রাঙামাটিতে আগাম আনারসের বাম্পার ফলন

এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি : রাঙামাটিতে ১১শ হেক্টর জমিতে আগাম আনারসের বাম্পার ফলন। আনারসের বাম্পার ফলনে নানিয়ারচরে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। দামও পেয়েছে অনেক বেশি। তাই তারা অত্যন্ত খুশি।

পার্বত্য জেলায় আনারসের রাজধানী নানিয়ারচরে।এখানে পাহাড়ি বাঙালি মিলে কয়েকশ পরিবার আনারসের চাষ করে। আগাম আনারসে ভরপুর হয়ে উঠেছে রাঙামাটির বাজারগুলো। চারিদিকে রসালো আনারসের গন্ধে মৌ মৌ করছে পরিবেশ। বর্তমানে রাঙামাটি শহরের বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে আনারস। এছাড়াও শহরের বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রামেও সরবরাহ হচ্ছে নানিয়ারচরের আনারস।

চাষি ও সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে আনারসের প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে। সবচেয়ে অধিক উৎপাদন হচ্ছে নানিয়ারচর উপজেলায়। মৌসুমের আগেই হাটবাজারে এসেছে প্রচুর আনারস। বাজারে বড় সাইজের প্রতি জোড়া আনারস বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। তবে কৃষকদের কাছে পাইকাররা কিনছেন মাত্র ৩০-৪০ টাকায়। নানিয়ারচরসহ জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ আনারস জেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে। স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে রাঙামাটির আনারস যাচ্ছে ঢাকা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রামসহ বাইরের জেলাতেও।

চাষিরা মনে করছেন, করোনার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গতবারের আগাম আনারস চাষিরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এবার ভাল ফলন হওয়ায় তা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তারা আশা করেন।

নানিয়ারচর উপজেলার হাজাছড়া এলাকার বাসিন্দা বাগান চাষি শান্তি বিকাশ চাকমা জানান, এবার তিনি ৩০ হাজার আনারস চারা রোপণ করেছেন। গতবারের তুলনায় এবার ভাল ফলন হয়েছে এবং ভালো দামে বিক্রিও হচ্ছে। আনারস চাষ করতে যা খরচ হয়েছে তার দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন। বড় সাইজের আনারস বিক্রি করছেন জোড়া ৬০-৭০ টাকাএবং ছোট সাইজের আনারস বিক্রি করছেন ৮-১০ টাকা ধরে।

একই উপজেলার দ্যজ্জাছড়ি এলাকার আরেক চাষি মিলন চাকমা জানান, গতবারের তুলনায় এবার আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে। করোনায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যা ক্ষতি হয়েছে তা এবার পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করেন। তিনি আরো বলেন, এবার তিনি ৫০ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছেন।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃঞ্চ প্রসাদ মল্লিক বলেন, ২০২০ সালের গত মৌসমে এজেলায় আগাম আনারসের চাষ হয়েছিল ২১৩০ হেক্টর জমিতে। এবার আনুমানিক ১১০০ হেক্টর জমিতে আগাম মৌসমি আনারসের চাষ করা হয়েছে। আগাম আনারস চাষে ফলন বৃদ্ধির জন্য এক ধরনের ভিটামিন ব্যবহার করা হয়। তবে এই ভিটামিন মানবদেহে তেমন ক্ষতিকারক নহে। এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাষিদের সুপরামর্শ দিয়ে থাকেন। জেলা প্রত্যেক উপজেলাতে আমাদের উপসহকারীরা কৃষকদের সহায়তায় সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন।


সান নিউজ/কেটি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মিয়ানমারের দূতসহ ঢাকায় আসছেন মার্কিন ২ কর্মকর্তা

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আসছেন মার্কিন প্রশাসন...

জানা গেল ২০২৫ সালের হজ ফ্লাইট শুরুর তারিখ

এবছর পবিত্র হজের প্রথম ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে।...

বোরো মৌসুমের ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গমের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছ...

গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিল বাটা

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ...

দিনাজপুরে অংশ নেবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১০ পরীক্ষার্থী

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অ...

রাজনৈতিক বৈরিতা ঢাকা পড়েছে ভাগ-বাটোয়ারার ছায়ায়!

উপরে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও ভেতরে ভেতরে ‘অ...

ভারতের বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। এর ফলে বাংলাদেশের র...

চীনা প্রতিষ্ঠানের ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সমঝোতা স্বাক্ষর

এবার বাংলাদেশে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীনভিত্তিক খ্যাত...

'পার্ক ব্যবস্থাপনা প্রাণিবান্ধব ও দর্শনার্থীবান্ধব করতে হবে'

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পার্ক ব্যবস্থাপনাটা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা