মাসুম লুমেন, গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় মারা যাওয়ার তিন মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে গৃহবধূ রুপার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফয়েজ উদ্দিন ও সাঘাটা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রচনা রানী রপার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রূপার লাশ উত্তোলনের সময় মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে রপার মা, ভাই, বড় বোন ও এলাকাবাসী রচনা রানী রপাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান। এসময় সাঘাটার ডিমলা পদুম শহর গ্রামে এলাকার মেয়ে রূপা হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করে শিশু নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নানা বয়সের মানুষ। রূপাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, আজ থেকে তিন মাস পূর্বে গত বছরের ৫ নভেম্বর রপার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে খবর দেওয়া হয় হার্ট অ্যাটাকে রূপা মারা গেছে। পরে তারা সেখানে গিয়ে দেখতে পান ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে রূপার মরদেহ।
এ ঘটনায় ওই দিনই রূপার স্বামী অনিক অধিকারী তার বাবা, মা ও ভাই অভি অধিকারীকে আসামি করে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় মামলা করে রূপার বাবা রতন। অনিক ও তার ভাই অভিকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে অভি জামিনে ছাড়া পায়।
এরপর রূপা আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। রূপার বাবা ওই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে গত ৭ জানুয়ারি আদালতে পুনরায় ময়নাতদন্তের আবেদন করেন। আদালত ওই দিনই লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
রূপার মা চম্পা রানী ও বাবা রতন চন্দ্রের অভিযোগ, যৌতুক হিসেবে নগদ সাড়ে ছয় লাখ টাকা, আসবাপপত্র ও স্বর্ণালংকারসহ বগুড়ার মোকামতলার অনিক অধিকারীর সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে দেয়া হয় রচনা রানী রপাকে। বিয়ের প্রায় তিন বছরের মাথায় নিজের চাকরির জন্য রূপাকে বাবার বাড়ি থেকে আরো পাঁচ লাখ টাকা আনতে বলে অনিক। দিতে পারিনি বলেই ওরা রূপাকে হত্যা করেছে। আমরা আসামিদের ফাঁসি চাই।
সান নিউজ/এম/কেটি