নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিকবাহী একটি গাড়িতে এক যুবতীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে রোববার রাতে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ফারুক হোসেন (৩০) নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত ফারুক হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার হযরত নগর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিকবাহী গাড়ির চালক।
অপর অভিযুক্ত যুবতীর স্বামী সোহেল রানা (২৪) ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। সে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গুসবী গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
নির্যাতিতার বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক মনির হোসেন বলেন, গত ৩ মাস পূর্বে স্থানীয় কারখানার শ্রমিক সোহেল রানার সাথে নির্যাতিতার বিয়ে হয়। নির্যাতিতার পরিবার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামে ভাড়া থাকে। সে বিয়ের পর থেকেই তার স্বামীর সাথে এর পাশের গ্রাম চন্নাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতো। শনিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার সাথে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর অভিযুক্তকে সাথে দিয়ে নির্যাতিতাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠান তার স্বামী সোহেল। পরে তার বাবার বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে অভিযুক্ত ফারুক হোসেন তার গাড়িতে উঠিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এসময় নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দুরে উপজেলার কাওরাইদ এলাকায় নিয়ে গাড়ির ভিতরেই জোড়পূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন গাড়ি চালক। পরে রাত আড়াইটার দিকে নির্যাতিতাকে তার বাবার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে এলে নির্যাতিতার কথার ভিত্তিতে স্থানীয়রা অভিযুক্ত চালককে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ গ্রেফতার করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে আটক ও গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত যুবতীর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে, সে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/এস/কেটি