নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও : সারাদেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও আগ্রহীদের দোদুল্যমনতার কারণে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। তবে সংবাদকর্মীদের মাঝে টিকা গ্রহণের আগ্রহ কম।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ফিতা কেটে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। পরে তিনি প্রথম টিকা গ্রহণ করেন। এছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করে।
প্রথমদিনে যে পরিমাণ মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য এসএমএস পেয়েছে সে তুলনায় উপস্থিতির সংখ্যা কম ছিল। সদর হাসপাতালে প্রথমদিনে ১৫০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা থাকলেও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন ৯০ জন। প্রথমদিনে জেলায় টিকার এসএমএস দেওয়া হয় ৫শ জনের বেশি লোককে। কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন মাত্র ২৭৪ জন।
২য় দিনে জেলার সিনিয়র সিটিজেনদের মাঝে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য ভীড় পরিলক্ষিত হয়। এরমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মির্জা রফিকুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম সহ বেশ কিছু সিনিয়র সিটিজেন টিকা গ্রহণ করেন।
সিভিল সার্জন জানান, প্রথমদিনের তুলনায় ২য় দিন টিকা গ্রহনেচ্ছু মানুষের সংখ্যা বেশি। ২য় দিন ৭/৮শ লোককে টিকা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জন অফিস হতে এসএমএস পাঠানো হয়েছে।
ডায়াবেটিকস বা উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগীদেরও স্বাভাবিক নিয়মে টিকা দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র যারা বিভিন্ন রোগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিতে বলা হচ্ছে। টিকা নেওয়ার পর কমপক্ষে ২০ মিনিট চিকিৎসকদের অবজারভেশনে রাখা হচ্ছে।
এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.নাদিরুল ইসলাম চপল জানান, সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা টিকা গ্রহণের ভীতি এবং দোদুল্যমনতার কারণে প্রথমদিনে টার্গেট অনুযায়ী টিকা প্রদান করা সম্ভব হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, বয়স্ক এবং হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিক সহ সব ধরণের মানুষকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। শুধুমাত্র যারা বিভিন্ন রোগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিতে বলা হচ্ছে।
তবে জেলায় সংবাদকর্মীদের মাঝে টিকা গ্রহণের আগ্রহ কম। প্রথমদিনে একজন মাত্র সংবাদকর্মী টিকা নিলেও ২য় দিনে কোন সংবাদকর্মীকে টিকা নিতে দেখা যায়নি। প্রথমদিনে জেলার সিনিয়র সাংবাদিক ও সংগ্রামী বাংলার সম্পাদক আব্দুল লতিফ টিকা গ্রহণ করেন।
সান নিউজ/বিআইবি/এনকে