নিজস্ব প্রতিনিধি, ফেনী : ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মুলকত আহম্মদ কালা মিয়া হত্যা মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় অপর এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলাটির ১৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহম্মদ জানান, মুলকত আহম্মদ কালা মিয়া হত্যা মামলায় হুমায়ুন হাছান রাকীব, আবদুর রহমান মানিক ও আবু তৈয়ব বাবলুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম সুমন চন্দ্র রায়। তাকেও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি জানান, খালাসপ্রাপ্ত অপর ১৬ জন হলেন মো. রাসেল, সোহাগ, আবু তৈয়ব বাবলু, মোশারফ হোসেন, রুবেল মিয়া, দিদার হোসেন রিপন, আলমগীর হোসেন বাবু, মাঈন উদ্দিন ঝিনুক, মো. জহির, নুর মোহাম্মদ জুয়েল জনি, সাফায়াত আহম্মদ পাটোয়ারী রাকিব, হাছান ইমাম, মো. সাফুল ইসলাম, মো. লোকমান হোসেন, শরীফ প্রকাশ টিপু, তৌহিদ উল্যাহ ও এনায়েত হোসেন রাজু।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয় বলেও জানান এ আইনজীবী। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরশুরাম থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে মুন্সিরহাটের উদ্দেশে রওনা হন মুলকত আহাম্মদ কালা মিয়া। রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তার খোঁজ করা শুরু হয়। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে জগতপুর রোডের টুক্কু মিয়ার পুলের পশ্চিম পাশে পানি থেকে মুলকতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই ফখরুল আহাম্মদ মজুমদার বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন ওসি সৈয়দুল মোস্তফা ২০১১ সালের ২৮ মে আদালতে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই অভিযোগগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
সান নিউজ/আজাদ/এসএ